প্রধানমন্ত্রী বললে বিনা কারণে ফাঁসিতে ঝুলব: মেয়র জাহাঙ্গীর

আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন দলটির গাজীপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি কটূক্তি করে দল থেকে কারণ দর্শানো এ নেতাকে দলের পদ থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন আমি বিনা কারণে ফাঁসিতে ঝুলব। আমাকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করলেও আমার আপত্তি নাই। আমি পদ-পদবি চাই না। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে বাঁচতে চাই। ’

গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে শুক্রবার বহিষ্কার হওয়ার পর শনিবার সকালে বোর্ডবাজার হারিকেন এলাকার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর।

মেয়র জাহাঙ্গীর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি কোনো পদ চাই না, আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে বাঁচতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার অস্তিত্বের রক্তের সম্পর্কের ছেদ ধরাতে একটি মহল ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিল। ’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও আমি যখন দেশের বাইরে ঠিক তখনই বিভিন্ন সময় যুক্তি তর্কের অডিও কাটছাঁট করে আংশিক ফেসবুকে প্রকাশ করে অপপ্রচার করা হয়েছে। আমি আবারও বলছি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে ক্ষমা করে অন্তত আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে থাকতে দিন।’

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনা করতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়েছে। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই আমার রাজনীতি শুরু। আমাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে বাঁচতে দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করবেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘উনি চাইলে যে কোনো সময় ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে রাজি। আমার মা আমার অবিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে মারার ষড়যন্ত্র করেছে।’