বঙ্গবন্ধুর নামে হবে বিমানবন্দর

একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এবং তার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ! তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যেন দেহ ও আত্মার মত এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আমাদের কাছে!

নতুন খবর হচ্ছে, রাজধানী ঢাকার পাশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ নামে সর্বাধুনিক নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। আজ রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

একই প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সংস্কারের পরে পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের জন্য মোট ৪৩৬ দশমিক ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে ২৯০ দশমিক ৭৪ একর হস্তান্তর করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দখলে থাকা অবশিষ্ট ১৪৫ দশমিক ৯১ একর জমিতে রয়েছে টার্মিনাল ভবন, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোন, নেভিগেশন যন্ত্রপাতি, যোগাযোগ যন্ত্রপাতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা ও বিমানবন্দরের প্রবেশ সড়কসহ অন্যান্য স্থাপনাদি রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে মিলটারি ফার্মকে হস্তান্তর করা জমি, মিলটারি ফার্ম কর্তৃক দখল করা জমিসহ এ বিমানবন্দরের জন্য অধিকৃত জমি বেবিচকের অনুকূলে হস্তান্তরের পর বিমানবন্দরটি সংস্কার করে পুনরায় চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

বরিশাল বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার সরকারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা সরকারি দলের সংসদ পংকজ নাথের এমন প্রশ্নের বিমান প্রতিমন্ত্রী জানান, বরিশাল বিমানবন্দর ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী রয়েছে। এ বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, টার্মিনাল ভবন এবং ৫০ হাজার বর্গফুট অ্যাপ্রোনসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। এ বিমানবন্দরের সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বেবিচক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের জন্য বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, ড্রইং-ডিজাইন, মাস্টার প্ল্যান ও ব্যয় প্রাক্কলন নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়োসিন হিরিম সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের মাহবুব আলী জানান, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। মোংলা সমুদ্র বন্দরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং মংলা ইপিজেড ও মোংলা ইকোনোমিক জোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য পিপিপির আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়ে সরকার নীতিগত অনুমোদন রয়েছে।