বাদ পড়তে পারেন ডমিঙ্গো, হাথুরুসিংহে-সিডন্সের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে বিসিবি

চলতি বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর খোলনলচে পাল্টে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে বেশ সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল শনিবার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে গেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার বাসায় সাবেক সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়ে বৈঠক করেন। দুজনের সঙ্গে বৈঠকের পর বোর্ডের শীর্ষ পরিচালক ও নির্বাচকদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।

এদিকে দলকে সঠিক পথে আনতে করণীয় কি জানতে চান তিনি। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতায় জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে রাখার খুব ইচ্ছে বিসিবির নেই, কিন্তু এই মুহূর্তে ছেড়ে দেওয়ার উপায়ও নেই! কারণ নতুন করে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে বিসিবি। সেটাও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে। ৫০ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে।

কিন্তু চুক্তিতে একটি ধারা আছে, চাইলেই বিসিবি তাকে ছাড়তে পারবে না। ছাড়তে পারবেন না ডমিঙ্গোও। যদি দুই পক্ষের কেউ চুক্তি ছাড়তে চান তাহলে এক বছরের পুরো বেতন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ডমিঙ্গোর মাসিক বেতন হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ডলার। এক বছরের পুরো বেতন ক্ষতিপূরণ দিয়ে এখন ডমিঙ্গোকে ছাড়তে চাইছে না বোর্ড। এজন্য বিকল্প ভাবনায় গিয়েছে।

এদিকে জাতীয় দলের জন্য টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে থাকছেন সহকারী কোচ। দুজনই স্থানীয়। টিম ডিরেক্টর হিসেবে সকল ক্ষমতা থাকছে খালেদ মাহমুদ সুজনের। সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তুাব দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। একই সঙ্গে দুজন পুরোনো কোচকেও ফেরানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বোর্ড।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাক বদলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও জেমি সিডন্সকে পেতে চায় বোর্ড। হাথুরুসিংহকে প্রধান কোচ, সিডন্স ব্যাটিং কোচ হিসেবে। তবে সহসাই তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।

আগের দায়িত্বের চু্ক্তির বাধ্যবাধকতায় আগামী অগাস্টের আগে নতুন কোনো দায়িত্ব নিতে পারবেন না হাথুরুসিংহে। আর সিডন্সকে পেতে আগামী মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হাইপ্রোফাইল দুই কোচের জন্য বিসিবি অপেক্ষা করতেও রাজি। এর আগে স্থানীয় কোচ ও ডমিঙ্গোকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে চায় বোর্ড।