বাবর আজমের উইকেট তুলে নিলেন মোস্তাফিজ

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহটা ভালোই ছিল।

কিন্তু শেষ দিকে ব্যাটে রান পাননি টাইগাররা। উল্টো একের পর এক উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। মাত্র ৯ রান করতে হারিয়েছে ৩ উইকেট। প্রথম ১০ ওভারে রান ৬৪ করা দল পরের ১০ ওভারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে করতে পারল মোটে ৪৪ রান।

গত ম্যাচের সেরা পারফরমার হাসান আলিকে বসিয়ে রেখে আজ শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে নামান বাবর আজম। আর আফ্রিদি সেই মর্যাদা রাখলেন। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৫ উইকেট।

শাহিনের বোলিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ করেছে মাত্র ১০৮ রান।

একাদশে ফিরে খুব একটা সময় নেননি আফ্রিদি। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন সাইফ হাসানকে। অভিষেক ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়ার পর তরুণ ওপেনার এবার মারলেন গোল্ডেন ডাক।

আফ্রিদির ফুল লেংথ বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। ওই গতির বল বুঝেই উঠতে পারেননি সাইফ। বল গিয়ে লাগে প্যাডে। প্রথমে জোরালো আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান।

সাইফের পথই অনুসরণ করলেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।

পরের ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকারে পরিণত হন তিনি।

ওয়াসিমের অফ স্টাম্পের বাইরে সাধারণ লেংথের বলে ফুটওয়ার্ক না করেই ব্যাট চালিয়ে দিলেন নাঈম। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় স্লিপে দাঁড়ানো ফখর জামানের হাতে।

৮ বলে ২ রান করে সমাপ্ত হয় নাঈমের ইনিংস। এই দুই ওপেনারের বিদায়ে মাঠে জুটি গড়ায় ব্যস্ত হন আফিফ ও শান্ত।

কিন্তু দারুণ সম্ভাবনাময় ইনিংস বাজেভাবে শেষ করেন আফিফ। শাদাব খান ডেলিভারিট করার আগেই রিভার্স সুইপের পজিশনে চলে যান আফিফ। শাদাব বল দেন একটু টেনে। আফিফের ব্যাটের মাথায় লেগে বল ওঠে ওপরে। সহজ ক্যাচ নেন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান।

২১ বলে ২০ রান করে আউট হলেন আফিফ। শান্তর সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি ভাঙে। গত ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আজ দারুণ কিছু শট খেলেছেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ভালো জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।

কিন্তু শান্তকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৩তম ওভারে হারিস রউফের ৪র্থ ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল।

থার্ডম্যানে গ্লাইড করার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় কিপারের গ্লাভসে। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরের পথে রওনা দেন মাহমুদউল্লাহ।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর যেন ক্রিজে থাকতে চাইলেন না শান্ত। পরের ওভারেই শাদাবের ফুল লেংথ বল আলতো করে ড্রাইভ করলে বল যায় মিড অনের দিকে। বোলার শাদাব বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্তভাবে লুফে নেন ক্যাচটি। শান্ত আউট হন ৩৪ বলে ৪০ রান করে।

শান্তর পর মাঠে নেমে টিকলেন না শেখ মেহেদিও। ১৬তম ওভার মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলার চেষ্টা করেন মেহেদি। বল যায় সোজা বোলারের হাতে। মেহেদি ৮ বলে ৩ রান করেন মাত্র।

গতকালের মতো আজকেও দারুণ শুরু করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তবে ইনিংস বড় করতে পারলেন না।

শাহিন শাহের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৩ বলে ১১ রান করেন সোহান। বড় শট খেলার আশায় ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ব্যাট চালান সোহান। ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে বল চলে যায় কিপারের গ্লাভসে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বাবর আজমের উইকেট তুলে নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। পাকিস্তান ১২/১, ওভার ২.৩