বারবার কেন দলে রাখা হয় রুবেলকে

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মাশরাফি অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে সফর, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, নিউজিল্যান্ড সিরিজ এবং সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপ। তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে এক কাতারে ফেলা সম্ভব নয়। কিন্তু রুবেল হোসেনের নাম মনে করতেই একবিন্দুতে চলে আসবে চারটি সিরিজ। সবগুলোই তার আনন্দ ভ্রমণের স্মৃতি বহন করছে।

চারটি সিরিজেই দলে ছিলেন রুবেল। কিন্তু একাদশে একবারও জায়গা হয়নি তার। এর মাঝে বাংলাদেশ ওয়ানডে, টি-২০ মিলে ১৬টি ম্যাচ খেলেছে। একটি ম্যাচও জুটেনি ডানহাতি এ পেসারের ভাগ্যে!

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অতীতে এমন কিছুর নজির কোনো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে আছে কিনা বলা কঠিন। যেখানে একজন ক্রিকেটার টানা এত সিরিজ দলে থাকলেও ম্যাচ পাননি। এত ব্রাত্য হয়ে থাকলেন যা সত্যিই বড় অদ্ভুত ও বিস্ময়কর বটে। প্রতিবার নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা নিয়েই রুবেলকে দলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সিরিজেই তার প্রতিফলন হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট এতগুলো ম্যাচের একটিতেও রুবেলকে দলে রাখার যথার্থতা তুলে ধরতে পারেনি।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে যায়, কেন বারবার দলে রাখা হয় ৩১ বছর বয়সী এ পেসারকে? চারটি সিরিজে চোখ রাখলে অবশ্য স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সতীর্থদের জন্য মাঠে পানি বয়ে নিয়ে যাওয়া, নেটে বোলিং ছাড়া রুবেলের কোনো কাজ নেই।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। কাল শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দেশের পথে বিমানে চরবেন ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচে রুবেলকে একাদশে প্রত্যাশা করেছেন অনেকে। টানা সাইড বেঞ্চে থাকা অভিজ্ঞ এ পেসার হয়তো একটি ম্যাচে সুযোগ পাবেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাসুমকে বসিয়ে বাংলাদেশ একাদশে ফেরায় মুস্তাফিজুর রহমানকে। যিনি আইপিএলে প্রাণপণে লড়লেও দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে পুরোই ফ্লপ।

নির্বাচকদের সূত্রে জানা গেছে, আমরা তো দলে রাখি সবাইকে একটা পরিকল্পনা করেই। যাতে যখন যাকে প্রয়োজন টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করতে পারে। এখন একাদশে রাখা, না রাখা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। তারা নির্দিষ্ট ম্যাচ নিয়ে কি পরিকল্পনা করছে, তার উপরই একাদশ ঠিক হয়।