বার্সেলোনায় ফিরেই প্রতিশ্রুতি দিলেন জাভি

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে যোগ দিলেন জাভি হার্নান্দেজ। তার যোগদান উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে ক্যাম্প ন্যু-তে উৎসবের আবহ। জাভির অভিষেকের সাক্ষী থাকতে ৯৪২২ সমর্থকের পাশাপাশি ম্যাঞ্চেস্টার থেকে উড়ে এসেছিলেন পেপ গার্দিওলা! শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন লিওনেল মেসি। এসব দেখে ১১ বছর বয়সে প্রথম বার্সেলোনায় আসা জাভি অভিভূত হয়ে যান।

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর একটায় ক্যাম্প ন্যু-তে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষরের পনেরো মিনিট পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল জাভির। টানেল দিয়ে প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তোর সঙ্গে জাভি বেরিয়ে আসা মাত্র গ্যালারিতে গর্জন ওঠে। ‘জাভি…জাভি’ গান গাইছিলেন বার্সা সমর্থকেরা। দ্রুত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেই তিনি এগিয়ে যান গ্যালারির দিকে। ফুটবল জীবনে যে ভাবে তিনি দুই হাত তুলে ভক্তদের অভিবাদন গ্রহণ করতেন, একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখলেন ফুটবলপ্রেমীরা।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বার্সার নতুন ম্যানেজার শান্ত অথচ বলিষ্ঠ স্বরে বলেন, ‘আমি খুব এক্সাইটেড। সকলকে ধন্যবাদ। একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমরাই বিশ্বের সেরা ক্লাব। সফল হওয়ার একমাত্র রাস্তা কঠোর পরিশ্রম করা। ড্র কিংবা পরাজয় কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বার্সা। সব ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। আপনারা জানেন না, ক্লাবের ব্যর্থতা আমাকে কত কষ্ট দিয়েছে। এই দুঃসময়ে আপনাদের পাশে চাই। এই মুহূর্ত থেকে আমরা শুধু বার্সার কীভাবে উন্নতি হয়, সেটাই ভাবব।’

এদিকে মেসি এবং ইনিয়েস্তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বার্সাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন জাভি। বার্সা ছেড়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক যোগ দিয়েছেন পিএসজিতে। সাবেক সতীর্থকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত জাভি বলেন, ‘মেসি অসাধারণ। সে আমার বন্ধু। আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তাও পাঠিয়েছে। রোনালদিনহোর মতো মেসিও এখানে নেই। আমি অবশ্যই ওদের মতো ফুটবলারদের কোচিং করাতে চাই। কিন্তু আমাদের ভবিষ্যতের কথাই শুধু ভাবতে হবে। যারা এখন বার্সায় নেই, তাদের কথা ভাবলে চলবে না।’

এ সময় জাভি বলেন, তিনি গুরু গার্দিওলার পথই অনুসরণ করতে চান। তার কথায়, ‘এই মুহূর্তে একটা বিষয় খুব পরিষ্কার, আমরা একেবারেই ভাল জায়গায় নেই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ভাল ফুটবল উপহার দেওয়া এবং সাফল্য অর্জন করা। গুয়ার্দিওলাও এই দর্শনে বিশ্বাসী। ও বিশ্বের সেরা ম্যানেজার। আমি ভাগ্যবান ইওহান ক্রুয়েফ, ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড, লুইস এনরিকে, লুই ফান হাল, গার্দিওলার মতো অভিজ্ঞ কোচেদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি।’