বাস সিএনজিচালিত কিনা বুজবেন কিভাবে?

ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আন্তজেলা বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ছে। বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সরকারি কমিটি এই নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে।

তবে সরকারের একজন মন্ত্রী বললেন, সিএনজিচালিত বাসের ভাড়া বাড়বে না। কোন বাস ডিজেলচালিত, কোন বাস সিএনজিচালিত- এটা যাত্রীরা বুঝবে কিভাবে? গণপরিবহনের গায়ে কি লেখা থাকবে? নাকি গাড়িতে ওঠার আগে যাত্রীদের নিজ দায়িত্বে গাড়ির নিচে তাকিয়ে সিলিন্ডার দেখে নিতে হবে?

সোমবার (৮ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সিএনজির মূল্য বৃদ্ধি না হলেও সিএনজিচালিত গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরাও ধর্মঘট করেছেন। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে গণ পরিবহনের ভাড়া ২৭ শতাংশ, নৌ-পরিবহনের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ দুর্বিসহ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। অতিমারীতে কয়েক লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। দেশে নতুন করে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে। এই চরম দুর্দিনে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার সবক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যাবে, যা নতুন সংকট তৈরি করবে।