বিশ্বকাপের আগে মিরপুরের জয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল: মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মাহমুদউল্লাহ অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, চরম হতাশাজনক এক বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টুর্নামেন্টে ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনি ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষেই জয় পায়নি তারা, হারের লজ্জা উপহার দিয়েছে পুঁচকে স্কটল্যান্ডও।

সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক ছিল সুপার টুয়েলভের ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। ব্যাটিং ইউনিট ছিল মোটাদাগে ব্যর্থ। যার ফলে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ তুলতে পারেনি দল, ম্যাচও হেরেছে স্বাভাবিকভাবেই।

বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। তবে সেই ম্যাচগুলোতে খেলা হয়েছিল কিছুটা ধীরগতির এবং স্পিন সহায়ক পিচে। যেখানে নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে ব্যাটারদেরকে। মিরপুরে টানা ম্যাচ খেলার পর বিশ্বকাপে গিয়ে রানের মুখ দেখতে পারেননি বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটার। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মনে করেন, কন্ডিশনের কারণে পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারে না। পেশাদার ক্রিকেটে সকল ধরনের কন্ডিশনেই মানিয়ে নিতে হবে ক্রিকেটারদেরকে।

মাহমুদউল্লাহ জানান, ‘টি-টোয়েন্টি ছোট একটা ফরম্যাট। ভালো কন্ডিশনে খেলুন আর আপনার হোম কন্ডিশন ব্যবহার করে খেলুন, জয় গুরুত্বপূর্ণ। তখন জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দুবাই, বাংলাদেশ, পাকিস্তান হোক সব জায়গায় মানিয়ে নিতে হবে। নিজে থেকে যদি মনে করেন আমি মানব না, তখন আলাদা হিসাব।’

মিরপুরের ধীরগতির পিচে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে যে কী লাভ হবে তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সে সময়। আদতে যে কোনো লাভ হয়নি তা তো টের পাওয়া গেলো এবারের বিশ্বকাপেই। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতে, বিশ্বকাপের আগে সিরিজ জয় পাওয়াটা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশন যাই হোক, জয়ের ধারাকেই মহাগুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি এখনও বলব, ঐ জয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে। আমরা এমন একটি দল এই ফরম্যাটে যাদের জয়ের ধারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমরা শুরুতে পাইনি এবং পুরো টুর্নামেন্টে ভুগেছি।’