বিশ্বকাপ ইমরান খানের ‘নেতৃত্বে’দারুণ খেলছে বাবরের পাকিস্তান

পাকিস্তানের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে বাবর অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, পাকিস্তানকে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ইমরান খান। ২০২১ সালের এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও যদি জিতে যায় পাকিস্তান, সেটাও কি তাঁর ‘নেতৃত্বে’ই হবে না!

অবাক হচ্ছেন? ক্রিকেটের সীমানা পেরিয়ে রাজনীতির উত্থান-পতনের পথ মাড়িয়ে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক ইমরান খান তো এখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বাবর আজমের পাকিস্তান দলকে তিনি কীভাবে নেতৃত্ব দেবেন!

প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক। কিন্তু পাকিস্তান দলের অন্দরমহলে খোঁজ নিলে মনে হবে বিশ্বকাপে দলটা সাফল্যের পতাকা ওড়াচ্ছে আসলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার আগে পাকিস্তান দলকে নিজের বাসভবনে ডেকেছিলেন ইমরান খান। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে শোনান ১৯৯২-এর বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতার কথা। ইমরানের মুখে বিশ্বকাপ জয়ের কথা রূপকথার গল্পের মতো মনে হচ্ছিল ক্রিকেটারদের কাছে। গত ২৩ অক্টোবর বিশ্বকাপ খেলতে দুবাইয়ে এসেও পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম যেন সেই মোহেই আচ্ছন্ন ছিলেন, ‘এখানে আসার আগে তাঁর (ইমরান খান) সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলটার মানসিকতা এবং শরীরী ভাষা কেমন ছিল, আমাদের সেসবই বলেছেন তিনি।’

এরপর দুবাইয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানকে উৎসবের আনন্দে ভাসায় বাবর আজমের দল। আমিরাতপ্রবাসী পাকিস্তানিদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতে আসতে থাকে একটার পর একটা জয়। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, নামিবিয়া—পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোনো দলই।

ব্যাট হাতে উজ্জ্বল অধিনায়ক বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতানো আসিফ আলী। বল হাতে সাফল্যের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফরা। তাঁদের হাত ধরেই জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে বিশ্বকাপে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত অপরাজিত। শারজায় আজ স্কটল্যান্ডকে হারাতে পারলেই এক নম্বর গ্রুপের শীর্ষ দল হয়ে ১০ নভেম্বর আবুধাবির প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে তারা।

কোচ মিসবাহ-উল হক আর ওয়াকার ইউনুসের অধীনে পাকিস্তানের হয়ে এই খেলোয়াড়েরাই এর আগে খেলেছেন। কিন্তু পারফরম্যান্সে সে ধারাবাহিকতাটা ছিল না, যেটা দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপে। পাকিস্তানের জিও টিভির অভিজ্ঞ সাংবাদিক সোহাইল ইমরানের চোখে ইমরান খানের মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়েই দলটার এমন বদলে যাওয়া, ‘এই খেলোয়াড়েরাই এর আগে খেলেছে। বিশ্বকাপে তাদের ভালো পারফরম্যান্সের মূলে কাজ করছে ইমরান খানের কাছ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস।