ব্যালট পেপারে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ সিল

দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন করছে না বিএনপি। তবে ভোটকেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। নারায়ণগঞ্জের একটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিলের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, সোনারগাঁ থানা ছাত্রদল’ সিল-সম্বলিত ব্যালট পেপারের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।

ছবিতে দেখা যায়, ব্যালট পেপারটিতে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম রয়েছে। তারা হলেন-লাঙল প্রতীকের মো. আবুল হাসেম, নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুর রশিদ মোল্লা ও হাতপাখা প্রতীকের মো. গোলাম মোস্তফা।

এ তিনজনই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের প্রার্থী। ফলে সাদিপুর ইউনিয়নের যে কোনো একটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাফর আহমেদ তুষার বলেন, ‘নেতাকর্মীরা বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ও আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে নীরব প্রতিবাদস্বরূপ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হয়তো ব্যালটে মুক্তির সিল মেরেছেন।’

তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলার বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম সজীব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমার নজরে আসেনি।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউসুফ উর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার নজরে এটা আসেনি।’

যদি নজরে আসে তাহলে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাবলিক সেন্স যদি ন্যূনতম পর্যায়ে চলে যায় সেক্ষেত্রে উন্মাদ, বদ্ধপাগলের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া সেটা হলো চিন্তার বিষয়।’

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্র সংখ্যা ১১৬টি। তবে আট ইউনিয়নের মধ্যে চারজন আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।