ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি, বুক পেতে দিলেন বোন খুশি

পৃথিবীতে মা-বাবার পর আপন হচ্ছে ভাই-বোন। নিঃস্বার্থ এক ভালোবাসার উপমা ভাই-বোনের সম্পর্ক। মা-বাবার পরে যারা পরিবারের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেন তারা হলেন বড় ভাই-বোন। শত কষ্টের মাঝে থেকেও যারা ছোট ভাই-বোনদের ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখেন।

নতুন খবর হচ্ছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোরে নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউপির নেকজানপুর গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত খুশিসহ তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন।

জানা যায়, ছোট ভাই আবদুল হাসিমের ছেলে রবির বুকে টিউমার। ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা বেগম ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালে ছুটছেন বেশ কয়েকদিন ধরে। বৃহস্পতিবার ভাইকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য ভাইয়ের বাড়ি নেকজানপুর গ্রামে আসেন খোরশেদা বেগম খুশি।

হঠাৎ বৃহস্পতিবার ভোরে হাসিমের বাড়িতে হামলা। অসুস্থ হাসিম তখন বাড়িতেই। হামলা করা হয় তার ওপর। ভাইকে রক্ষা করতে ছুটে আসেন বোন। এমন সময় প্রতিপক্ষ হাসিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। সেই গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান খুশি।

নিহতরা হলেন নেকজানপুর এলাকার পটু মিয়া ছেলে মো. আমির হোসেন, আবদুল জলিলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও আবদুল মনু মিয়া মেয়ে খুশি বেগম ।

নিহত খোরশেদা বেগম খুশির ছেলে মাইন উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের জয়নগর গ্রামে। মামাতো ভাই অসুস্থ হওয়ায় মামাকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার মামার বাড়িতে আসেন মা। আজকে ভোরে প্রতিপক্ষের লোকজন যখন মামাকে মারধোর করেছিল তখন আমার মা বাঁধা দিতে গেলে তার বুকে গুলি করে দেয়। আর ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে মামাকেও গুলি করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁরা।’