ভারতের ভাগে ৩ টুর্নামেন্ট, বাংলাদেশ পেল ১টি!

‘ক্রিকেট ইজ অ্যা জেন্টলম্যান’স গেইম’ বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কোথাও লেখা দেখিনি বা শুনিনি যে ‘ক্রিকেট ইজ এ ফানি গেইম’। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট একটি মজার খেলা। আসলে মনে করাটাই স্বাভাবিক, কেননা ডব্লিউ জি গ্রেসের মতে এই আধুনিক ক্রিকেটটা আসলেই কয়েক’শ কোটি মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে।

নতুন খবর হচ্ছে, আইসিসির বিশ্ব আসর আয়োজনের নতুন চক্রে ভারত একাই পেয়েছে তিন টুর্নামেন্ট (২টি যৌথভাবে, ১টি এককভাবে)। অন্যদিকে এই চক্রে একটিমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ পেয়েছে বাংলাদেশ, সেটাও ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে।
ঘরের মাঠে সেই বিশ্বকাপ দেখতেও অপেক্ষায় থাকতে হবে ২০৩১ সাল পর্যন্ত।

মঙ্গলবার প্রতিযোগিতামূলক বিডিং শেষে বিশ্ব আসর আয়োজনের নতুন চক্রের ৮টি নতুন টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। এই টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করবে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন দেশ। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। চেয়ারম্যান মার্টিন স্লেডেনের সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলী, রিকি স্কেরিটকে নিয়ে আইসিসির গঠিত বোর্ড আগ্রহী দেশগুলোর ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে দেখার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিডিং নিয়ে এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিডে আমরা আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করেছি। এজন্য যে কয়টি স্টেডিয়াম দরকার তা আমাদের আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে বিড করেছি। এককভাবে আয়োজনের জন্য যে পরিমাণ স্টেডিয়াম দরকার তা আমাদের নেই। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান মিলে বিড করেছি। আর টি-টোয়েন্টিতে করেছি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। ‘

বিসিবি সভাপতির কথামতো আইসিসির বিশ্ব আসর আয়োজনের নতুন চক্রে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজনের জন্য এককভাবে বিড করেছিল বাংলাদেশ। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য বিড করেছিল যৌথভাবে। কিন্তু বাংলাদেশ শুধু পেয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের সুযোগ। এর আগে ২০১৪ সালেও বাংলাদেশ এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। অথচ জঙ্গি উপদ্রবের কারণে প্রায় এক দশক যে দেশে আন্তর্জতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল, সেই পাকিস্তানও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এককভাবে আয়োজন করবে। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হবে দেশটিতে।

৮ বছরের চক্রে সবচেয়ে বেশি টুর্নামেন্ট পেয়েছে ভারত। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল দেশটি। যদিও করোনা মহামারির কারণে তাদের বাধ্য হয়ে আসর আয়োজন করতে হয় ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু এবার তারা পাচ্ছে আরও ৩টি আসর আয়োজনের দায়িত্ব। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। এরপর ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একক আয়োজক বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশটি। আর ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের তাদের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ। তাছাড়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপও আয়োজন করবে ভারত।