যে কারণে গতকাল রিভিউ নেননি ওয়ার্নার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ার একাদশ ওভারে ঘটনা সেটি। পানি পানের বিরতির পর প্রথম বলেই শাদাব খানের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ওয়ার্নার। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার রিভিউ না নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান।

আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মূলত ওয়ার্নারই। কিন্তু ৩০ বলে ৪৯ রান করে তিনি আউট হওয়ার পর অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে দল। এই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানিরা প্রায় ম্যাচ জয়ের উল্লাসই করে ফেলে।

একটু পর টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ওয়ার্নারের ব্যাটেই লাগেনি বল! যদিও একটা শব্দের মতো শোনা যায়, তবে ব্যাট থেকে বল দূরেই ছিল খানিকটা। প্রশ্নটাও তখন উঠতে থাকে, দুটি রিভিউ অটুট থাকার পরও কেন রিভিউ নেননি তিনি!

টিভি ধারাভাষ্যে ইয়ান বিশপ বলেন, “অনেক সময়ই লোকে এটা বুঝতে চায় না যে, স্বয়ং ব্যাটসম্যানরাও সবসময় বুঝে উঠেতে পারে না যে বল তার ব্যাটে লেগেছে কী না।”

শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওয়ার্নারের ভুলে ভুগতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। মার্কাস স্টয়নিসের ৩১ বলে ৪০ ও ম্যাথু ওয়েডের ১৭ বলে ৪১ রানের ঝড় আর টানা তিন ছক্কায় ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায় তারা।

তবে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ওয়েড জানান, মূলত অপরপ্রান্তে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সংশয় ছিল বলেই রিভিউ নেননি ওয়ার্নার।

“এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলার সুযোগ এখনও হয়নি। আশপাশ থেকে টুকটাক শুনছিলাম। একটা শব্দ হয়েছিল, সে (ওয়ার্নার) নিশ্চিত ছিল না। হতে পারে ব্যাটের হাতলে ঝাঁকি কিংবা তার ব্যাটে হাত লাগার শব্দ। সে যদিও মনে করছিল, ব্যাটে লাগেনি। তবে অপরপ্রান্তে, গ্লেন (ম্যাক্সওয়েল) কিছু একটা শুনতে পেরেছিল। আর সত্যি বলতে, ব্যাট ছাড়া বলের কাছে আর কিছু ছিল না। তখন হয়তো তার মনে হয়েছে, ব্যাটে বল লেগেছে।”

“ওই পরিস্থিতিতে আসলে কাজটা কঠিন। কত সময়ই তো দেখতে পান, ব্যাটসম্যানরা বুঝে উঠতে পারে না ব্যাটে লেগেছে কী না। অপরপ্রান্ত থেকে একটু হলেও নিশ্চয়তার প্রয়োজন হয়। এখানে সেটা হয়নি। ম্যাক্সি একটা শব্দ শুনেছিল।”

ওয়েডের মতে, পরের ম্যাচে এসব ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।