রংপুরে ইজতেমা শুরু, অংশ নেবেন ২ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি

প্রচার-প্রচারণা দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে তাবলিগ । বাড়তে থাকছে তাবলিগের সাথী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সংখ্যা। এ কারণে ৮ বছর পর ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতিমা আয়োজন করা। তারই ধারবাহিকতায় রংপুরে ইজতেমা।

নতুন খবর হচ্ছে, রংপুর নগরে ঘাঘট নদীর কোল ঘেঁষে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমায় না যাওয়া রংপুর জেলার ২ লাখেরও বেশি মুসল্লি এতে অংশ নেবেন বলে ধারণা দিয়েছে আয়োজক সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ভোর থেকে নগরের রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে উত্তম হাজীরহাটের রব্বানীর চরে তিন দিনের এ ইজতেমা শুরু হয়।

ফজরের নামাজের পর আমবয়ান শুরু করে তাবলিগ জামাতের আলেমগণ। কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আল্লাহ ও নবী-রাসুলের হুকুম আহকাম মেনে চলার মধ্যেই ইহকাল ও পরকালে সুখ শান্তি রয়েছে বলে উল্লেখ্য করেন তারা।

শীত উপেক্ষা করে বিশাল আয়তনের এ মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শামিয়ানার নিচে অবস্থান নেন। এখানে ১২টি খিত্তার নিচে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ২০১০ সাল থেকে রংপুরে আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে আসছে। এবার রংপুরে ৬ষ্ঠ বারের মতো ইজতেমা হচ্ছে।

আয়োজকরা জানিয়েছে, বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই রংপুর জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমা ময়দানে সমবেত হতে শুরু করেছেন। এখানে রংপুর মহানগর ও সদর উপজেলাসহ তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা এবং কাউনিয়া উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসছেন।

ইজতেমায় বয়ান করতে রাজধানী ঢাকাসহ ইতোমধ্যে সৌদি আরব ও আফ্রিকা থেকে তাবলিগের মুরুব্বিরা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকে স্থানীয় মুরুব্বিরাও বয়ান করছেন। পরবর্তীতে মাশোয়ারার ভিত্তিতে আগত আলেমগণ বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করবেন।