রাবাদার হ্যাটট্রিকে জিতেও বাদ দক্ষিণ আফ্রিকা, সেমিতে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

গতকাল রাতে দূর্দান্ত এক ম্যাচ দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব। উত্থান-পতন আবার উত্থান, শেষ হাসিটা হাসলো দক্ষিণ আফ্রিকাই। তবে হাসতে যেয়েও কাঁদতে হলো তাদের। জিতেও যে যাওয়া হলোনা সেমিফাইনালে। ৩৬৮ রানের ম্যাচে শেষ ওভারে রাবাদার হ্যাটট্রিক; উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে হারালো আফ্রিকা। তবুও নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে সেমিতে যাওয়া হলোনা প্রোটিয়াদের। এই সুবাদে সেমিতে গেলো অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফন ডার ডুসেনের অপরাজিত ৯৪ এবং এইডেন মার্করামের অপরাজিত ৫২ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১৯০ রানের বিশাল রানের টার্গেট দেয় প্রোটিয়ারা। পাহাড়সম রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং জশ বাটলার। এর পরপরই হঠাৎ করেই বড় ধাক্কা খায় ইয়ন মরগানের দল।

চার ওভার শেষে দলের রান তখন বিনা উইকেটে ৩৭। কেশব মহারাজের প্রথম বলে দুই রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে জেসন রয়, কোনোমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ২ রান সম্পূর্ণ করলেও তাঁকে ফিরতে হয় ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে। ড্রেসিং রুমে ফিরে যাওয়ার আগে তাঁর সংগ্রহ ১৫ বলে ২০ রান। ইংলিশ ওপেনারের বদলি হিসেবে নামেন মঈন আলী।

এদিকে ম্যাচ যতোই এগিয়েছে, ততোই বেড়েছে উত্তেজনা। সাউথ আফ্রিকার যে শুধু জিতলে চলবে না, ইংল্যান্ডকে থামাতে হবে ১৩১ রানের মধ্যেই। কিন্তু, তাতে কি যায় আসে ইংল্যান্ডের; ইংলিশ খেলোয়াড়েরা খেলেছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটাই। ছয় ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৫৯! একমাত্র উইকেট হয়ে ২৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন জশ বাটলার।

এদিন পাওয়ারপ্লে শেষে তাবরাইজ শামসির বলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও কাজের কাজটা করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। মঈন আলী ৩৭ রানে ফিরলেও দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ডাওয়িড মালান-লিয়াম লিভিংস্টন। ১৬ তম ওভারে বল করতে আসা কাগিসো রাবাদাকে টানা তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন লিভিংস্টন; সেইসাথে সাউথ আফ্রিকার বিদায়টাও করেছেন নিশ্চিত।

এদিকে জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে যখন প্রয়োজন ৪৬, তখন ৩৩ রান করেই প্যাভিলিয়নে মালান। মালান ফিরার পর ২৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লিভিংস্টনও। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন হলেও রাবাদার হ্যাটট্রিকে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি মরগান। ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা, শামসির সংগ্রহ ২৪ রানে ২টি।