শেষ ম্যাচে হেরে কাতার বিশ্বকাপ অনিশ্চিত পর্তুগালের

গতকাল সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একটু সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিলো পর্তুগাল। ন্যূনতম ড্র করলেই রোনালদোদের মিলতো কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের টিকেট। এমন সমীকরণের ম্যাচে জয় তো দূরের কথা ড্র নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারলো না পর্তুগাল। শেষ মুহূর্তের গোলে তাদের স্তব্ধ করে দিল সার্বিয়া। গতকাল রবিবার রাতে পর্তুগালের লিসবনে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘এ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ২-১ গোলে জিতেছে সার্বিয়া। এই জয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে দলটির।

আট ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে সরাসরি ২০২২ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে সার্বিয়া। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা পর্তুগালের আশা এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তবে বিশ্ব মঞ্চে খেলতে হলে তাদের পার হতে হবে প্লে-অফের কঠিন বৈতরণী। প্রথম দেখায় গত মার্চে সার্বিয়ার মাঠে ২-২ ড্র করেছিল পর্তুগাল, এবার ঘরের মাঠে হেরেই গেল তারা। দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

ঘরের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ডি-বক্সের বাইরে আলগা বল পেয়ে বের্নার্দো সিলভা পাস দেন রেনাতো সানচেসকে। ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লিলের এই মিডফিল্ডার। ত্রয়োদশ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত সার্বিয়া, কিন্তু বাঁধ সাধে দুর্ভাগ্য। স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচের শট দূরের পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে প্রথম সুযোগ পান রোনালদো। দূর থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের শট ঠেকান গোলরক্ষক। একটু পর তার ফ্রি-কিক উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

৩৩তম মিনিটে সমতা ফেরায় সার্বিয়া। এই গোলে দায় আছে পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিওর। ডি-বক্সের মাথা থেকে দুসান ট্যাডিচের শট দানিলো পেরেইরার গায়ে লেগে পাত্রিসিওর হাত ছুঁয়ে গোললাইন পেরিয়ে যায়। বিরতির আগে পর্তুগালের জালে বল পাঠান ভ্লাহোভিচ। তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে পর্তুগালের ওপর চাপ বাড়ায় সার্বিয়া। ৮৩তম মিনিটে আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।

এদিন নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে তিনিই উচ্ছ্বাসে ভাসান দলকে। সতীর্থের ক্রসে দূরের পোস্টে হেডেই মহামূল্যবান গোলটি করেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা এই স্রাইকার। হতাশায় নুয়ে পড়েন রোনালদোরা।

এদিকে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পাবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে ইউরোপ থেকে আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে খেলার।