সেমিফাইনালের দৌড়ে ভারতের চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান

‘ক্রিকেট ইজ অ্যা জেন্টলম্যান’স গেইম’ বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কোথাও লেখা দেখিনি বা শুনিনি যে ‘ক্রিকেট ইজ এ ফানি গেইম’। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট একটি মজার খেলা। আসলে মনে করাটাই স্বাভাবিক, কেননা ডব্লিউ জি গ্রেসের মতে এই আধুনিক ক্রিকেটটা আসলেই কয়েক’শ কোটি মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে।

নতুন খবর হচ্ছে, গ্রুপ-১ থেকে যেমনটা টানা তিন জয়ে প্রায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড, ঠিক তেমনি গ্রুপ-২ থেকেও অপেক্ষাকৃত শক্ত তিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে এক রকম পা দিয়েই রেখেছে বাবর আজমের দল। বাকি একটা জায়গার জন্য লড়াই নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও ভারতের। নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে রানরেটে পিছিয়ে যাওয়ায় ভারতের সমীকরণই সবচেয়ে জটিল। আর সবচেয়ে সহজ বলা যায় নিউজিল্যান্ডের

ভারত ম্যাচ খেলেছে ২টি, পয়েন্ট ০, নেট রানরেট (-১.৬০৯), ম্যাচ বাকি আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে।

সেমিতে যেতে হলে বাকি তিন ম্যাচ ভালো ব্যবধানে জিতলেই চলবে না কোহলিদের। কামনা করতে হবে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান যেন অন্তত একটি ম্যাচ হেরে যায়। তখন রানরেট আসবে হিসেবে । কিন্তু আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারায়, ভারত যদি সব ম্যাচ জিতে তখন আফগানিস্তানের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ নেট রানরেটে তারা বেশ এগিয়ে। বাকি তিন ম্যাচে তাই শুধু জয় নয়, বিশাল জয় দরকার ভারতের।

আফগানিস্তান

ম্যাচ খেলেছে ৩টি, পয়েন্ট ৪, নেট রানরেট (৩.০৮৭), ম্যাচ বাকি ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ায় নেট রানরেটে সবচেয়ে ভাল অবস্থায় আফগানিস্তান। পাকিস্তানের কাছে লড়াই জমিয়ে হারলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বেশ চড়া তাদের। সেজন্য ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অন্তত একটি ম্যাচ জিততে হবে। হারলেও সুযোগ থাকবে, তবে তখন রানরেটে পাশাপাশি আসবে যদি, কিন্তুর হিসেব। আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারায় আর ভারতের কাছে হেরে যায় তবু ভারতকে টপকে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ তাদেরই বেশি। কারণ রানরেটে এখনো পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আফগানিস্তান।