স্কুলের কক্ষে ধর্ষণ, নৈশপ্রহরী গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ বাদ যায়নি প্রতিবন্ধী কিংবা ছয় বছরের শিশুও৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে এসব নারী ও শিশুকে৷ বিচার না হওয়াকে এই পরিস্থিতির জন্য দুষছেন মানবাধিকারকর্মীরা৷

নতুন খবর হচ্ছে, যশোরের মনিরামপুরের শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানের (৩১) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে আতাউরের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ওই কিশোরী।

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আতাউর এবং ওই নারীকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক সঙ্গে দেখতে পেয়ে আটকে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। অভিযুক্ত আতাউর শ্যামনগর গ্রামের আলী মুনসুরের ছেলে। ওই কিশোরীর বাড়িও একই গ্রামে। তিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়ার একটি পাটকলের শ্রমিক।

মনিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) যোগেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় শ্যামনগর বাজারে ডাক্তার দেখিয়ে স্কুল মাঠ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোরী। এ সময় তাকে ডেকে টেনে অফিসকক্ষে নিয়ে যান আতাউর। পরে তাকে ওই কক্ষে ধর্ষণ করেন।

যোগেশ মন্ডল বলেন, ঘটনাটি দেখে ফেলেন আশপাশের লোকজন। তখন তারা আতাউরকে ধরে মারধর করেন। খবর পেয়ে আমরা আতাউর ও বাদীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।

স্থানীয়রা জানান, লোকজন দেখে আতাউর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে অফিসকক্ষে ওই কিশোরীর সঙ্গে আটকে রাখা হয়।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, আতাউরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরী। মঙ্গলবার (৯ নভেমম্বর) দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।