হুঙ্কার দিয়ে ৮০ রানও করতে পারল না টাইগাররা

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেও বিপদে বাংলাদেশ দল। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি অসিদের বিপক্ষে ৬.১ ওভারে ৩৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট।

মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের গতি আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিন আর অ্যাডাম জাম্পার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, ও আফিফ হোসেন।

প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইনিংসের তৃতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ১ রানে ফেরেন এ ওপেনার।

এরপর দ্বিতীয় ওভারে জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৮ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি।

২.৫ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকু রহিম। ২ বলে ১ রানে আউট হন মুশফিক।

দলীয় ৩২ রানে হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অ্যাডাম জাম্পার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন।

৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে রিয়াদের সঙ্গে ২৮ বলে ২৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন শামিম হোসেন। তার বিদায়ে ১০.৫ ওভারে ৬২ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

১৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করে আউট হন শামিম। আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই এলবিডব্লিউ হন মেহেদি হাসান। পর পরা দুই বলে শামিম ও মেহেদিকে আউট করেন অ্যাডাম জাম্পা।

১২.২ ওভারে দলীয় ৬৫ রানে মিচেল স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮ বলে দুটি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তিনি।

এ ম্যাচটি বাংলাদেশ দলের জন্য নিয়মরক্ষার। এই ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশের নামের পাশে দুটি পয়েন্ট যোগ হবে। প্রাইজমানি কিছুটা বাড়বে। র‌্যাংকিংয়ে অবনমন ঠেকানো যাবে। তবে হেরে গেলে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়াকে ৭৪ রানের টার্গেট দিল টাইগাররা।