হেলপারের তাড়া, চালক বাড়িয়ে দেয় গতি, নামতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর

মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

নতুন খবর হচ্ছে, বেপরোয়া গতিতে চলা অবস্থায় শিশু মরিয়মকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়ার সময়ই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় রাইদা বাসের চালক এবং হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলপার জানায়, শিশুটি নামার সময় বাস থামাতে বললেও তা শোনেনি চালক।

চলতি পথে যাত্রীদের কাছে সাহায্য নিয়ে চলতো শিশু মরিয়মের জীবন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার খুব ভোরে বেরিয়েছিলো সে। যমুনা নিউজের হাতে আসা সিসিটিভির ফুটেজে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রগতি সরণি এলাকায় দেখা যায় তাকে। একটি বাসে উঠে আবার নেমে যায় একটু পর। সেখান থেকে রাস্তা পার হয় ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে। কিছুক্ষণ পর রাইদা পরিবহনের বাসটিতে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। বাসটি সামনে যাওয়ার পর এক ব্যক্তিকে ওই বাস দেখিয়ে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। তখন বাসটি মরিয়মকে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছিল বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ফুটেজ বিশ্লেষণ করার পর অভিযান চালিয়ে রাইদা পরিবহনের ওই বাসটিসহ চালক ও সহযোগীকে আটক করেছে র‍্যাব। কর্মকর্তারা জানান, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি কীভাবে বাস থেকে পড়ে মারা গেলো তার বিস্তারিত জানিয়েছেন দুই অভিযুক্ত।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, শিশুটি বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার একপর্যায়ে তাকে নেমে যেতে তাড়া দেয় হেলপার। সে নামার সময় চালক চালক জোরে টান দিলে সে তড়িঘড়ি করে নামতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। গাড়ির গতিবেগ তখন ঘন্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার ছিল বলে জানিয়েছে চালক।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, শিশুটির শরীরে জখমের চিহ্ন থাকলেও অন্য কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।