দেশের সবচেয়ে ভালো ভেন্যুতে ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচ না রাখায় হতাশ সিলেট

এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজের জন্য ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে মনোনীত করেছে বিসিবি। এ দুই ভেন্যুতে আগে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডও (ইসিবি) রাজি হয়েছে। কিন্তু সিলেটে ইংল্যান্ডের ম্যাচ না রাখায় হতাশ সিলেট থেকে নির্বাচিত বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম নাদেল।

গতকাল তিনি জানান, দেশের সবচেয়ে ভালো ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের ম্যাচ রাখা হয়নি। ভেন্যু নির্বাচনে বিসিবিকে আরেকটু সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিসিবি থেকে ছয় মাস আগে ভেন্যু জানানো হয়েছে বলে জানান একজন পরিচালক। সে সময় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটের মান নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। নারী এশিয়া কাপে লো স্কোরিং ম্যাচ হওয়ায় এবং বাংলাদেশ দলের বিপর্যয়ে ভারতীয় কিউরেটরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পরিচালক বলেন, ‘ছয় মাস আগে সিলেটকে ইংল্যান্ড সিরিজের ভেন্যু নির্ধারণ করা সম্ভব ছিল না। উইকেট খারাপ ছিল।’ এ ব্যাপারে বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘ইংল্যান্ড তিন ভেন্যুতে খেলতে চায়নি। চট্টগ্রামে দুটি ম্যাচ শেষ করে সিলেটে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে রাজি হয়নি তারা।’

তবে ইংল্যান্ড সিলেটে খেলতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বাস করেন না নাদেল, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে, বিশেষ করে, ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিলেটের যে সম্পর্ক এবং ইংল্যান্ড দলে যাঁরা খেলেন, তাঁদের কিন্তু সিলেটে খেলার ব্যাপারে আগ্রহ আছে। এখানে যে সুবিধা আছে, অন্য জায়গায় এভাবে নেই। তাঁরা আসতে চাইবেন না, এটা আমি জানি না আসলে।’

এত দিন সিলেটে হোটেলের সমস্যা ছিল। সে সমস্যা মিটে গেছে বলে জানান নাদেল। পাঁচতারা মানের হোটেল রয়েছে সেখানে। ভেন্যুর দিক থেকেও সিলেট দেশের সেরা। তাই সিলেটের সমর্থকদের খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে বোর্ডের কাছে আহ্বান জানান তিনি, ‘সিলেটে তো শুধু বিপিএল নয়, যে কোনো ক্রিকেটের আসর যখন বসে, দর্শকে মাঠ ভরপুর থাকে। এবার আমরা চার দিনে আটটি ম্যাচ পেয়েছি। আমি মনে করি, আমাদের এই ভেন্যু সুযোগ-সুবিধা, সৌন্দর্য সব কিছু নিয়ে যে জায়গায় এসেছে, আগামী দিনে আমরা আরও টুর্নামেন্ট পাব। আবার আশাহতও হই।’

তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড ট্যুরটি আমরা পাইনি। আয়ারল্যান্ড সফর এখানে হবে। তো আমি আশাবাদী। আবাসনসহ প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটি- সব বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। ইতোমধ্যে সেসব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি। আমি আশা করি, আগামী দিনে যাঁরা এই খেলাগুলোর ফিকশ্চার ও সময়সূচি নির্ধারণ করবেন, ভেন্যু নির্ধারণ করবেন, তাঁরা আরেকটু সদয় হবেন। আরেকটু সুবিবেচক হয়ে তাঁরা সিলেটের দর্শকদের চাহিদা পূরণ করতে এগিয়ে আসবেন।’