বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১১টি বড় উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় ছিল বলেই আজ দেশের উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু কিন্তু তাকে হত্যার পর থেমে যায় দেশের উন্নয়ন। কারণ যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাপ্রধান হলেন তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষিত রাষ্ট্রপতি ও অনির্বাচিত লোক দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। ২১ বছরে দেশের উন্নয়নটা হতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্ততপক্ষে আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ, সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছিলাম, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো হয়েছিল।’ শেখ হাসিনা বলেল, ‘দ্বিতীয়বার আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করে সরকার গঠন করি। আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেশকে। যে কারণে ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আজ দেশের উন্নতি হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে, একমাত্র ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল বলেই। তিনি বলেন, ‘জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকারে ছিল বলেই, দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যদি ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারা না থাকত, এ দেশ কিন্তু এত উন্নত হতে পারত না।’

১১ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (৯০টি ফ্ল্যাট), ঢাকার তেজগাঁওয়ে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বহুতল (১৩ তলা) আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (ছয়টি ১৩ তলা ভবনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট), ঢাকার মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট, নোয়াখালী সদরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ (৯টি ১০তলা ভবনে ৩২৪টি ফ্ল্যাট)। এছাড়াও রয়েছে ঢাকার রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার লাইব্রেরি ভবন, এনেক্স ভবন এবং অডিটোরিয়াম নবায়নসহ আনুষঙ্গিক কাজ, মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ১০৪০টি আবাসিক ফ্ল্যাট (স্বপ্ননগর-১) নির্মাণ, মিরপুর ১৫ নম্বর সেকশনে ১৪তলা বিশিষ্ট ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ১০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও সিলেটের সুনামগঞ্জে সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন।

এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল পানি সরবরাহ প্রকল্প (প্রথম ফেইজ) ও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, পলখান উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্বাচল আদর্শ কলেজ ভবন (বাস্তবায়িত প্রকল্প) উদ্বোধন করা হয়।