এবারের অমর একুশে বইমেলায় একটি বইকে ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। জয়া আহসান, পরীমণি পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের যৌনসঙ্গী ছিলেন বলে জানিয়েছেন সমালোচিত লেখিকা জান্নাতুন নাঈম প্রীতি। তার প্রকাশিত ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ গ্রন্থে এমনটা দাবি করেছেন তিনি। গ্রন্থের সেই লেখার অংশটুকুর স্থিরচিত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বইটিতে শোবিজের অনেক তারকাকেই দাঁড় করিয়েছে সমালোচনার কাঠগড়ায়।
বিষয়টি নিয়ে একদিকে যখন সমালোচনার রোল অন্যদিকে একদমি চুপ রয়েছেন মনপুরা’খ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দেখুন বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আমাকে ফোন দিয়েছে। কিন্তু আমি এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ, এসব বিষয় যত বেশি নাড়াচাড়া করবেন তত বেশি দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাই আমি মনে করি, আমাদের চুপ থাকাটাই ভালো।’
আপনার চুপ থাকার কারণে অনেকে শোবিজের তারকাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে। তাহলে কী বইটিতে যা লেখা আছে তা সত্য? উত্তরে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘একজন কোথা থেকে কি লিখেছে আর সে নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা কথা চলছে- এটা শুনেই তো আমার হাসি পাচ্ছে। দেখুন সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সে তার কথা বলেছে। এখন কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে, এটা যাচাই না করে অন্যের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা ঠিক হবে না।’
জনপ্রিয় এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘এই লেখিকা ভাইরাল হওয়ার জন্যই কথাগুলো লিখেছেন। আর আপনারা যদি এটি ফলাও করে প্রচার করেন, তাহলে তার উদ্দেশ্য সফল। আমি মনে করি, এগুলো নিয়ে আপনারা লেখালেখি বন্ধ করুন।’ লেখিকা প্রীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে আপনার চুপ থাকা মানেই- নিরবতা সম্মতির লক্ষণ!, বিষয়টি কী তাই? ‘আমি কি কাউকে জোর জবরদস্তি করেছি? আর ওই লেখিকা কি আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন? তাহলে কেন আপনার এই বিষয়টি জানার জন্য এত উঠে পড়ে লেগেছেন? বাদ দেন এগুলো নিয়ে কথা বলা। তাহলে দেখবেন, এমনিতেই সব চুপ হয়ে যাবে,’ বললেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।