এবার দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে অল্পতে আটকে রাখলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলাররা। এরপর রান তাড়া করতে নেমে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেন মুহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া না পেলেও এই ওপেনারের খুনে ইনিংসে আফগানিস্তানকে সহজেই হারাল মধ্যপ্রাচ্যের দলটি।
এদিকে আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে জিতেছে আমিরাত। আফগানদের ১৩৭ রান স্বাগতিকরা পেরিয়ে গেছে ১০ বল বাকি থাকতে। দুই দলের সিরিজটি এখন ১-১ সমতায়। প্রথম ম্যাচ ৫ উইকেটে হেরেছিল আমিরাত। এনিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে দ্বিতীয়বার হারাল আমিরাত। প্রথমবার তারা জিতেছিল ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে, ১৬ রানে।
আমিরাতের এই জয়ের নায়ক ওয়াসিম। ৭ ছক্কা ও ৮ চারে ৫০ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনিই। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের দুই ওপেনারই পান ভালো শুরু। কিন্তু হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলের একপ্রান্ত ধরে রাখেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।
১ ছক্কা ও ৫ চারে দলের ২৯ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আমিরাতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জহুর খান ও জাওয়ার ফরিদ। একটি করে প্রাপ্তি জুনাইদ সিদ্দিক ও আকিফ রাজার। জবাব দিতে নেমে আমিরাতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওয়াসিম। প্রথম ওভারেই তিনি আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে মারেন ৩ চার।
নাভিন-উল-হককে পরপর হাঁকান চার ও ছক্কা। তাণ্ডব চালান তিনি মুজিব-উর-রহমানের ওপর। এই স্পিনারকে ওভারে এক চার ও তিন ছক্কায় ওড়ান। নাভিনকে চার মেরে ২২ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। পরের বলেই এই পেসারকে হাঁকান ছক্কা। ওয়াসিমের আগ্রাসনের মাঝে আরেক প্রান্তে কেবল তাকে সঙ্গ দিয়ে যান ভ্রিতিয়া অরভিন্দ।
তাদের দুইজনের জুটি শতরান স্পর্শ করে স্রেফ ৬৯ বলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ওয়াসিমের সেঞ্চুরি কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু চতুর্দশ ওভারে করিম জানাতের বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি আক্ষেপ নিয়ে। ভাঙে ১১৯ রানের জুটি। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি পেল আমিরাত।
তাদের আগের সেরা শুরুর জুটি ছিল ৯৬ রানের। ২০২০ সালে কুয়েতের বিপক্ষে চিরাগ সুরি ও রোহান মুস্তফা করেছিলেন ৯৬ রান। ওয়াসিমের বিদায়ের পর বাকি পথ অনায়াসেই পাড়ি দেন অরভিন্দ ও রিজওয়ান। ২ চারে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন অরভিন্দ। দুই দলের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আজ রবিবার।