তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশের অর্থনীতি এখন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এদেশের জিডিপি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ওপরে অবস্থান করছে। বিশ্ব অর্থনীতির র্যাংকিংয়ে ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে এই দেশ। এসময় তিনি বলেন, এটি নির্বাচনের বছর। সাংবাদিকরা জনমত গঠন করেন এবং মানুষের মনন তৈরি করেন। আগামী নির্বাচন দেশের জন্য এবং জাতির জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। কারণ সে নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি চলমান সেটি অব্যাহত থাকবে কি না। নাকি দেশ আবার পশ্চাৎপদ হবে।
গতকাল শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী জানান, কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে উপমহাদেশের কোনো দেশে এভাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সহায়তা করা হয় না। করোনাকালে বিশেষ তহবিল গঠন করে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়েছে সেটিও উপমহাদেশের কোনো দেশে করা হয়নি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি সাংবাদিকদের ভরসার স্থল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব নেত্রী। তার সরকার সাংবাদিকবান্ধব। সে কারণেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব ঐচ্ছিক তহবিল থেকে মাঝেমধ্যে সাংবাদিকদের সহায়তা করে থাকেন। হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে আমরা ২৫টি দেশকে পেছনে ফেলে এখন ৩৫তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। এই ৩৫টি দেশের মধ্যে অর্থনীতির আকারে জিডিপিতে আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলেছি। আর পিপিপিতে আমরা পৃথিবীতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ।
তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, আজ থেকে ১৪ বছর আগে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার। এখন মানুষের মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলারের কাছাকাছি। ১৪ বছর আগে আমরা সব সূচকে পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু ৬ থেকে ৭ বছর আগে সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। করোনা মহামারির মধ্যে অর্থনৈতিক সূচকে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে অতিক্রম করেছি।