কুমিল্লার শক্তি বিদেশি ক্রিকেটার, সিলেটের ভরসা দেশের ক্রিকেটারদের ওপর

বিপিএলের চলতি নবম আসর শেষ বিন্দুতে। আজ রাতে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটির ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলীয় হিসেবে কুমিল্লা বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল। সর্বোচ্চ তিনবার শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি। অপর দিকে সিলেট ফাইনালে উঠল এই প্রথম। তবে সিলেটকে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা অধিনায়ক হিসেবে বিভিন্ন দলের হয়ে বিপিএলের শিরোপা জিতেছেন সর্বোচ্চ চারবার। কুমিল্লার সাফল্যের শুরুটা ছিল ২০১৫ আসরে মাশরাফির নেতৃত্বেই। পরে ২০১৯ সালে ও গত আসর জিতেছে তারা ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে। মাশরাফি অধিনায়ক হিসেবে কুমিল্লার আগে দুটি ট্রফি জিতেছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে, পরে আরেকটি জিতেছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে।

এদিকে ফাইনালের আগের দিন অবশ্য অনুশীলনে ছিলেন না মাশরাফি। মেট্রোরেলে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে ইমরুলের সঙ্গে সিলেটের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে ফাইনালে দলের ভরসা হয়ে মাঠেই থাকবেন মাশরাফি। সিলেটের প্রথম ট্রফির হাতছানিতে মিশে থাকছে মুশফিকের তাড়নাও। এখনো বিপিএল ট্রফি যে জেতা হয়নি তার!

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কাগজ-কলমের শক্তিতে এগিয়ে অনেকটাই। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে দুই দলের তুলনাই চলে না। সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলের মতো টি-টোয়েন্টির কিংবদন্তি কুমিল্লার বড় শক্তি। মইন আলি, জনসন চার্লসরাও একাই গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য। তাদের সঙ্গে লিটন কুমার দাস, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো দেশের তারকারা তো আছেনই। এমনকি উঠতি তানভীর ইসলাম, জাকের আলিরাও দারুণ পারফর্ম করছেন।

তবে সিলেট সেখানে পুরোপুরিই নির্ভর করছে দেশের ক্রিকেটারদের ওপর। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান স্কোরার তাদের দলের নাজমুল হোসেন শান্ত, তালিকার তিনে এই দলেরই তৌহিদ হৃদয়। খুব ভালো না হলেও অবদান রেখেছেন জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। বোলিংয়ে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, তরুণ তানজিম হাসান সাকিব, রেজাউর রহমানরা মেলে ধরেছেন নিজেদের।