ভারতের উরসে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে ২১৫২ যাত্রী নিয়ে ছাড়লো স্পেশাল ট্রেন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২২তম বার্ষিক উরস শরীফে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে ২১৫২ যাত্রী নিয়ে একটি স্পেশাল ট্রেন যাবে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১১ মিনিটে রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।

রাজবাড়ী জেলা আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৩২তম ও বড় পীর গাউস-উল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.)-এর ১৯তম অধস্তন বংশধর আলী আব্দুল কাদের শামসুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.)-এর ১২২তম বার্ষিক উরস শরীফ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে উদযাপিত হবে।

উরস শরীফ পরিচালনা করবেন ওই দরবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হযরত সৈয়দ শাহ্ ইয়া’সুব আলী আল কাদেরী’ আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।

রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন বলেন, ‘১২২তম বার্ষিক উরস শরীফ উপলক্ষে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে ২৪টি বগি সম্বলিত উরস স্পেশাল ট্রেন যাবে মেদিনীপুর। ১ হাজার ২৪৫ জন পুরুষ, ৮৩২ জন নারী ও ৭৫ জন শিশুসহ মোট ২ হাজার ১৫২ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। উরস শরীফ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই উরস স্পেশাল ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে স্পেশাল ট্রেনটি যায়নি। আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশ উভয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। উরস শরীফ খানকায়ে কাদেরীয়া বড় মসজিদ রাজবাড়ীতেও হবে।’

রাজবাড়ী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি সোমনাথ বসু জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে ট্রেনটি আসবে। সারাদিন ট্রেনটি সাজানোর পর রাত ১০টা ১১ মিনিটে ছেড়ে যাবে। এর আগ পর্যন্ত পোশাক ও সাদা পোশাকে ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া সারাদিন রেলের ইয়ার্ডে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রাজবাড়ী রেলস্টেশনের ১, ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পুলিশ সদস্যরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত জিআরপি পুলিশ টিম স্পেশাল গার্ডে নিয়োজিত থাকবে।