মায়ের মুখে এমন হাসি দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল: চঞ্চল চৌধুরী

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। বর্তমানে সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ ছবির শুটিংয়ে কলকাতায় ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই তার বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরীকে হারিয়েছেন তিনি। এখন তার মা’ই সব। শত ব্যস্ততার মাঝেও মায়ের হাসিটুকু সকল ক্লান্তি দূর করে দেয় অভিনেতার।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মায়ের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলার পর একটি ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন ‘হাওয়া’ খ্যাত এই অভিনেতা। অভিনেতা লিখেছেন , ‘অনেকদিন পর মায়ের মুখে এমন হাসি দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল আমার। বাবা চলে যাওয়ার পর আমরা সবাই যখন শোকে ভেঙে পড়েছিলাম, উল্টো মা’ই আমাদের বুকের কাছে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেয়।’

চঞ্চল এর পর লেখেন, মাঝখানে দেশে এলেও মায়ের কাছে বেশিদিন থাকতে পারিনি। ‘সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’র শুটিং এর কারণে কলকাতা চলে আসতে হয়েছে। তবে ভিডিওকলে কথা বলি মায়ের সাথে। শক্তি আর সান্ত্বনা খুঁজে বেড়াই। কাজ করে চলি।বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরীর মৃত্যুর পর কিছুতেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি।, বাবাকে স্মরণ করে তিনি লেখেন ‘এমনভাবে কাজের ভেতর ডুবে থাকি যে, মাঝেমধ্যে ঘোর কাটে না। মনে হয় দেশে ফিরলেই তো বাবাকে দেখতে পাব। চোখের কোণায় জল জমে, আবার বাস্তবে ফিরে আসি।’

এই অভিনেতা আরো জানান, ‘ভিডিওকলে মা খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারে। মানে ফ্রেমিংটা খুব সুন্দর হয়। আর বাবা ছিল ঠিক বিপরীত, ফ্রেমিং খুব বাজে। ভিডিওকলে বাবার পুরো চেহারাটা কখনও দেখা হয়নি। কীভাবে যেন ফোনটা মুখের সামনে ধরত, হয় শুধু কপাল, নাহয় শুধু থুতনি দেখা যেত।’বাবার মৃত্যুর পর বাসায় মা এখন একা। মাঝেমধ্যে আত্মীয়-স্বজনরা দেখতে আসেন। এদিন যেমন দেখতে এলেন অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, তার স্বামী নির্মাতা বৃন্দাবন দাস এবং দুই ছেলে দিব্য ও সৌম্য।

চঞ্চল আরও লেখেন, আমি কলকাতায়, আর আমার মা ঢাকাতে আমার বাসায়। প্রতিদিনই ভাইবোন, আত্মীয় স্বজন মাকে দেখতে আসে। আজ সন্ধ্যায় মাকে দেখতে এসেছে খুশী, বৃন্দাবনদা, দিব্য, সৌম্য। মা সবার সাথে গল্প করেছেন, আনন্দে মেতে উঠেছেন। মায়েদের মুখের হাসি মনে হয়, সকল সন্তানের অন্তরেই শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। মায়ের কপাল থেকে লাল টকটকে সিঁদুর মুছে গেছে সত্য, তবে এই হাসিটুকু যেন আমৃত্যু থেকে যায়।