‘আমরা গরিব মানুষ এখন কী খাবো’

কদিন আগেও বেগুনের দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা। রোজা শুরুর আগে দিন দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। একইভাবে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৮০-৯০ টাকা হয়েছে। ১০ টাকা বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। এ হিসাব কেবল সিরাজগঞ্জের পাইকারি বাজারের। খুচরা বাজারে আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।

অন্য সবজির দাম কমবেশি বেড়েছে। এক অর্থে রমজানকে ঘিরে সবজি ব্যবসায়ীদের এখন পোয়াবারো। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফরিদ সেখ বলেন, যে বেগুন দুদিন আগে ১৬০০ টাকা মণ কিনেছি, সেটাই আজ কিনতে হলো ২৬০০-২৭০০ টাকা দরে।

এ সময় আরেক খুচরা ব্যবসায়ী খোকন বলেন, কাঁচামরিচ দুদিন আগে কিনেছি ১৮০০ টাকা মণ। এখন কিনতে হচ্ছে ৩০০০-৩২০০ টাকা মণ। কাঁচামাল পাইকারি ব্যবসায়ী মুসলিম সেখ বলেন, চাহিদা অনুপাতে আমদানি কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। খুচরা ব্যবসায়ী হযরত আলী বলেন, কাঁচামরিচের ১০ কেজির পাল্লা ৮০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। লাভ করতে হলে খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। বেগুন ও কাঁচামরিচের ওপর ভর করে রমজানে ব্যবসা চলে।

এদিকে রোজার জন্য বাজার করতে আসা অটোরিকশাচালক সুলতান সেখ বলেন, কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে কিনেছি ৫৫ টাকা কেজি, আজ কিনলাম ১০০ টাকায়। গরুর মাংস কেনার টাকা না থাকায় ব্রয়লার কিনতে গিয়ে দেখি সেটাও ২৫০ টাকা কেজি। আমরা গরিব মানুষ এখন কী খাবো?

এদিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের নিকটতম শিয়ালকোল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার ভর্তি আলু, কাঁচামরিচ ও বেগুন। প্রতিটি দোকানে অন্য পণ্যের পাশাপাশি এসব সবজি বাজার ধরেছে বেশি। ব্যবসায়ীরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন এসব পণ্যে। আলুর দাম এখনো ২৫-৩০ ও পেঁয়াজ ৪০ টাকা আছে। তবে পোটল ৭০ টাকা কেজি দরে ও লেবু ২৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।