কনের ইচ্ছাপূরণে হেলিকপ্টারে তুলে আনলেন বর

নববধূর ইচ্ছাপূরণ করলেন বর। বিয়ের পর বরিশালের গৌরনদী থেকে বর কনেকে (ডাক্তার নবদম্পতি) নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে খুলনার নিজ বাড়িতে ফিরলেন। হেলিকপ্টারে চড়ে বর কনেকে (ডা. নবদম্পতি) নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য হাজারো উৎসুক জনতা বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভিড় জমান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গৌরনদী পৌরসভার উত্তর বিজয়পুর এলাকার ব্যবসায়ী নিজামউদ্দিন ভূইয়ার মেয়ে মেডিকেল কলেজছাত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে খুলনা নগরীর ফুলতলার দামোদর উত্তরপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক শেখ দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে ডা. শেখ তাওহীদ ইসলামের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বর তাওহীদ ইসলাম বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। বরের মা কলেজশিক্ষিকা সেলিনা খাতুন ও সহোদর ছোট ভাই শেখ সৌরভ। কনে ঢাকা মহানগরীর এম.এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। কনের মা গৃহিণী আকলিমা আক্তার ও সহোদর ভাই আলিফ ইসলাম (১৭), আবির ইসলাম (১২), রোহান ইসলাম (৬)।

কনের বাবা টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী নিজামউদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমার মেয়ে মেডিকেল কলেজছাত্রী শান্তা ইসলামের বিয়ে দিন ঠিক করার সময় আমার মেয়ে (কনে) নবজামাতা ডা. তাওহীদ ইসলামের (বর) কাছে হেলিকপ্টার যোগে তুলে নেওয়ার ইচ্ছাপূরণের আবদার করেছিল। সড়ক পথে বরের সঙ্গে ৬০ বরযাত্রী আমার (কনে) বাড়িতে আসেন। বরযাত্রীসহ আমার আত্মীয় স্বজন ও ঘনিষ্ঠ ৬০০ লোককে মেহমানদারি করানো হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বর, তাওহীদ, কনে শান্তা ও কনের ভাই আলিফ ইসলাম, বরের ভাই শেখ সৌরভকে নিয়ে হেলিকপ্টার সরকারি গৌরনদী কলেজ মাঠ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উড়াল দিয়ে চলে যায়। আমার নবজামাতা ডা. শেখ তাওহীদ মেয়ের (কনে) ইচ্ছাপূরণের জন্য বিয়ের দিনে মেয়েকে (কনে) হেলিকপ্টারে তুলে নিয়ে যায়। জামাতা মেয়ের ইচ্ছাপূরণ করায় আমি খুব খুশি হয়েছি।