ওভার কম থাকলে মুশফিক আরও বেশি আগ্রাসী: তামিম

আর কয়মাস পরই ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ভারতে। দুয়ারে কড়া নাড়ার আগেই সব দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কন্ডিশন এবং উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। আইসিসি ইভেন্টে সচরাচর বল টার্ন করার নজির খুবই কম। সচরাচর ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে বড় রান তোলার লক্ষ্য থাকে প্রতিটি দলেরই। এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট করেছে টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্ট। নিয়মিত চারে খেলা মুশফিকুর রহিমকে খেলানো হয়েছে ছয় নাম্বারে।

এই পজিশনে প্রায় ৬ বছর পর খেলতে নেমে ব্যাট হাতে বাজিমাতও করেছেন মুশফিক। প্রথম ওয়ানডেতে ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর ব্যাট হাতে আরো ক্ষুরধার হয়ে উঠেন মুশফিক। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দেশের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে বসেন উইকেট রক্ষক এই ব্যাটার। মুশফিককে নিয়ে ম্যানেজম্যান্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সিরিজ শেষে মুখ খুলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

গতকাল সিলেটে শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে জিতে মুশফিক প্রশ্নে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘শেষ সিরিজে আমি আর কোচ মিলে ঠিক করেছি ওকে (মুশফিক) আমরা ছয়ে খেলাব। কারণ, তার চারে খেলানোর বিপক্ষে কিছু নেই, সে সেখানে দারুণ খেলেছে, কিন্তু তাকে ছয়ে নামানোর কারণ, আমরা কখনো সখনো ভালোভাবে শেষ করিনি। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তার হাতে অনেক শট আছে। সেটা সে তার দুই ইনিংসে দেখিয়েছেও। সেটাই কারণ ছিল, কারণ সে আমার মনে হয় তার হাতে কম ওভার থাকলে সে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে যায়। ভাগ্য ভালো, বিষয়টা কাজে দিয়েছে, সে অবিশ্বাস্যভাবে ভালো খেলেছে।’

এদিকে দুই ম্যাচে মুশফিক যেভাবে ব্যাট করেছে তা ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনায় পুরাপুরি সফল। অনেক সময় শুরুর দিকে ব্যাটিং বিপর্যয় হতেও পারে। তাই রানের গতি ধরে রেখে ইনিংস মেরামত করতে শেষ দিকের ব্যাটারদের অবদানটা জরুরি বেশি। তাই ওই পজিশন নিয়ে তামিমের ভাবনা সুদুরপ্রসারী।

তামিম আরও বলেন, ‘ও যদি সেটা ক্যারি করতে পারে, তাহলে আমাদের জন্যই সম্ভাব্য সেরা বিষয় হবে সেটা। কারণ, ছয়ে ব্যাট করাটা খুবই ট্রিকিও হতে পারে। সবসময় ভালো শুরু হবে না। ১০০ রানে ৪ উইকেট, এমন পরিস্থিতিতেও তাকে এসে ব্যাট করতে হবে। তো এটা যেই ব্যাট করুক, ছয়ে ব্যাট করাটা যে কারো জন্যেই ট্রিকি। কারণ আপনি রিয়াদ ভাইয়ের কথা বলেন, আফিফ, মুশি যার কথাই বলেন, যে ৬-৭ এ খেলবে, তার জন্যই আমার একটা সফট কর্নার থাকবে, কারণ, আমার সবসময়ই মনে হয় ওপেনিং পজিশনটা বাদ দিলে এটা ব্যাট করার জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গা।’