দুবাইয়ে আরাভ খানের খোঁজে পুলিশ, ফাঁকা আরাভ জুয়েলারি শপ

দুবাইয়ের বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম আরাভের খোঁজে নেমেছে দুবাই পুলিশ। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রেড নোটিশ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গ্রেফতার এড়াতে তিনি দুবাই ছাড়তে পারেন। আরাভ খান নাম ব্যবহার করে নেওয়া তার ভারতীয় পাসপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা রয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাব।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খবর এসেছে, ইন্টারপোল এটি গ্রহণ করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে। নোটিশ অবশ্য ‘আরাভ খান’ নামে হবে না। পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় এ আসামির যে নাম আছে, সেই ‘রবিউল ইসলামের’ নামে নোটিশ জারি করতেই পাঠানো হয়েছে চিঠি।

আরাভ খান তার ফেসবুক লাইভে নানা কাহিনি প্রচার করছেন। সেখানে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাকে বিপদে ফেলছেন। আমি অপরাধী কিনা এটা আদালত দেখবে। কেন আমাকে খুনি বলা হবে। দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলেও জানান এই বিতর্কিত ব্যক্তি।

এদিকে আরাভ খান চাপের মুখে হঠাৎ তার সোনার দোকান ‘আরাভ জুয়েলার্স’ ফাঁকা করে ফেলেছেন। সেখানে নেই কোনো স্বর্ণালংকার। দুবাই থেকে আরাভ জুয়েলারি শপের কিছু ছবি এসেছে গণমাধ্যমের হাতে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তার সেই সোনার দোকানটি পুরোপুরি ফাঁকা। সেখানে নেই কোনো স্বর্ণালংকার। দোকানের সামনে পড়ে আছে কথিত ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো বাজপাখি ও বাঘের লোগো।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, আরাভের গতিবিধির ওপর তথ্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা থাকায় দুবাই ছেড়ে যে কোনো দেশে আরাভ পালাতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে তার নামে কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকাকালে বাংলাদেশে এসেছেন, এমন তথ্যও নেই। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো নামের পাসপোর্ট ব্যবহার করে আরাভ বাংলাদেশে এসেছেন।