মেসি-এমবাপ্পের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে বিশাল জয় পেল পিএসজি

এবার ফিফার প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এরপর পিএসজির হয়ে এদিন প্রথমবার মাঠে নেমেই গোলের দেখা পেলেন ক্ষুদে এ জাদুকর। আর একদম শেষ মুহূর্ত জালের দেখা পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। মাঝে আরও দুই গোলে বড় জয়ের দেখা পেল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। গতকাল শনিবার ৪ মার্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে ন্যান্তেসের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি।

প্রথমার্ধের শুরুতেই লিওনেল মেসির গোলের পর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দুই গোল হজম করে পিএসজি। এরপর দানিলো পেরেইরা ও ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। ন্যান্তেসের পক্ষে লুডোভিক ব্লাস ও ইগনাসিয়াস গানাগো গোল দুটি করেন। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত হওয়ার টাটকা স্মৃতি সঙ্গী করে এদিন মাঠে নামেন মেসি।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে গোল করে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন এ আর্জেন্টাইন। ২০২২-২৩ মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসি এ গোলে দাঁড়িয়ে আছেন মাইলফলকের সামনে। এটি মেসির পেশাদার ক্যারিয়ারের ৭৯৯তম গোল। আর মাত্র একটি গোল হলেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে আট শতাধিক গোল করাদের তালিকায় যোগ দেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, এ গোল করেই শুধুমাত্র ক্লাব ক্যারিয়ারেই এক হাজার গোলে অবদান রাখলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

পাঁচ মিনিট পর আবার গোলের দেখা পায় পিএসজি। এবারের গোলটি অবশ্য ন্যান্তেসের দেয়া উপহার। জউয়েন হাদজাম আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে দেন প্যারিসিয়ানদের। তবে এ হাদজামই অবদান রাখেন ন্যান্তেসের প্রথম গোলটিতে। ৩১ মিনিটে তার পাস ধরেই বাঁ প্রান্তের লাইন ধরে পিএসজির মুকিয়েলে ও ভিতিনিয়াকে হারিয়ে জোরাল শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক ডোনারুম্মাকে।

সাত মিনিট পর পিএসজিকে হতবাক করে সমতায় ফেরে ন্যান্তেস। মোলেত কর্নার থেকে কাছের পোস্টে ক্রস বাড়ালে ফ্লিক করে বল জালে পাঠান গানাগো। ২-২ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধে ফের গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। কর্নার থেকে পাওয়া বল নিয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে ডিবক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। তার দুর্দান্ত ক্রস কাছে থেকে হেড করে জালে পাঠান দানিলো পেরেইরা।

দলকে এগিয়ে দেয়া গোলে অবদান রাখা এমবাপ্পে পরে নিজেও করেছেন গোল। এ গোলটি তাকে পরিণত করেছে পিএসজির জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড়ে। তিনি গোলের দেখা পান একদম ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপ্পেকে প্রথম দফায় বঞ্চিত করেন ন্যান্তেসের গোলরক্ষক ল্যাফন্ত। তবে পেম্বেলে পুনরায় পেনাল্টি স্পটে বল দেন এ ফরাসিকে। কাছে থেকে নেয়া শট জালে জড়াতেই পিএসজির ইতিহাসে নাম লেখা হয়ে যায় এমবাপ্পের।

ক্লাবের হয়ে এটি তার ২০১তম গোল। পিএসজির জার্সিতে বিশ্বকাপজয়ী এমবাপ্পের চেয়ে বেশি গোল নেই আর কারও। এডিনসন কাভানিকে পেছনে ফেলে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ক্লাবটির জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হলেন তিনি। এ জয়ে ২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল পিএসজি। ২৫ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে বেশ পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অলিম্পিক মার্শেই।