শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে মঙ্গলবার আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ০ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা আফটারশক ও কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন।

ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় দুপুর টায়, পাহাড়ি খনিসমৃদ্ধ প্রদেশ ডাভাও দে ওরোর মারাগুসান মিউনিসিপ্যালের মিন্দালো দ্বীপের কাছে এ ‘অগভীর’ ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মাটির গভীরে যেসব ভূমিকম্প হয় সেগুলোর তুলনায় অগভীর ভূমিকম্পগুলোতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে মঙ্গলবার ফিলিপাইনে আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিপর্যয়ের কথা শোনা যায়নি।

মারাগুসান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের একজন কর্মী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের প্রভাবে জাতীয় মহাসড়কে কোনো ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে কিনা এখন সেটি খতিয়ে দেখছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। তবে আমরা আশপাশের গ্রামগুলোতে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে আমাদের অফিসও কেঁপে ওঠে, কিন্তু কোনো কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’

মারাগুসান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাগুম পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা স্টেফেনি ক্লেমেন বলেছেন, ‘ভূমিকম্পটি প্রায় ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এবং এরপর কয়েকবার আফটারশক সংঘটিত হয়।’

বার্তাসংস্থা এপিকে এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিক আমাদের ডেস্কের নিচে চলে যাই এবং যখন কম্পন থেমে যায় তখন আমরা সোজা বাইরে চলে যাই। আমরা এখনো বাইরে আছি কারণ এখনো মৃদু আফটারশক আঘাত হানছে।’

এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদিও ভূমিকম্পে হয়ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এটি সাধারণ মানুষের মনে ‘প্রচণ্ড ভীতি’ তৈরি করেছিল।

এদিকে ফিলিপাইনে প্রতিদিনই ভূমিকম্প হয়। কারণ এ দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারের’ কাছে অবস্থিত।