স্ত্রীকে হত্যা করে শবে বরাতের নামাজে যান স্বামী

জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরের পল্লিতে স্ত্রী পান্না বেগমের (৩১) গলা কেটে হত্যার পর শবেবরাতের নামাজ আদায় ও মিলাদ মাহফিলে যোগ দিতে মসজিদে যান স্বামী সিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় স্বামী সিরাজুল ইসলামকে (৪৪) আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ পান্না বেগম জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গুডুম্বা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী, ভাসুর, জাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার (৮ মার্চ) পান্না বেগম হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার গলা কাটা হয়। পরে সেই ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে নামাজ থেকে ফিরে এসে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পাওয়ার নাটক করেন স্বামী সিরাজুল ইসলাম।

গ্রামবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ১৩ বছর আগে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে পান্না বেগমের বিয়ে হয়। তবে পান্না বেগমের সন্তান হচ্ছিল না। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) পান্না বেগম সারাদিন স্বামীর সঙ্গে সরিষা মাড়াইয়ের কাজ করেন। রাত ৮টার দিকে স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও ভাসুর আসাদুল ইসলাম শবে বরাতের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাড়ি ফিরে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। তখন প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের মেঝেতে পান্না বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং স্বামীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

এদিকে আক্কেলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুরসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।