আইসিসির মাস সেরা হবার দৌড়ে সাকিব

এবার প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতানো ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরা ৩ ক্রিকেটারকে মাসের সেরা ক্রিকেটার হবার দৌড়ে রাখে আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। ২০২৩ সালের আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হবার দৌড়ে আছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাসের সেরা হবার জন্য সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মনোনীত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খান।

ভোট দিতে পারবেন এই লিঙ্কে যেয়ে – https://www.icc-cricket.com/awards/player-of-the-month/mens-player-of-the-month ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সাকিব ছিলেন উজ্জ্বল। টাইগারদের পক্ষে সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি, ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও।

সিরিজে কেবল একটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। যেখানে ৭১ বলে ৭৫ রান করেন সাকিব। পরে বল হাতে নেন ৪ উইকেট। সঙ্গত কারণেই হন ম্যাচসেরা। এই ফর্ম ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বয়ে নিয়ে যান সাকিব। ইংল্যান্ডকে ৩-০ তে হারায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। ৩ ম্যাচেই উইকেটের দেখা পান সাকিব। প্রথম ম্যাচে করেন ২৪ বলে ৩৪ রান।

সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৯৩ রান করেন সাকিব। পরবর্তীতে ২য় টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বলে ৩৮* রান করার পাশাপাশি ৫ উইকেট নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কেন উইলিয়ামসনের টেস্ট ফর্ম ভালো যাচ্ছিল না। তবে মার্চে ব্যাট হাতে সাদা পোশাকে জ্বলে ওঠেন কেন। শ্রীলঙ্কার সাথে ২ ম্যাচের সিরিজে ১ টি শতক ও ১ টি দ্বিশতক করেন তিনি।

প্রথম ম্যাচে এমন সময়ে সেঞ্চুরি করেন কেন যখন দলের শেষ ইনিংসে দরকার ছিল ২৮৫ রান। শেষ ওভারে গিয়ে দলকে ম্যাচ জেতান তিনি। পরবর্তী টেস্টে ছাড়িয়ে যান ঐ ইনিসকেও। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরি। তার ডাবল সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন মারভান আতাপাত্তু, ভিরেন্দর শেবাগ, জাভেদ মিয়াদাদ, ইউনিস খান, রিকি পন্টিং ও শচীন টেন্ডুলকারের সমান।

এদিকে ২ ম্যাচে ৩৩৭ রান করে উইলিয়ামসন হন সিরিজসেরা। সাকিব ও উইলিয়ামসনের সঙ্গে মনোনীত হওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খান। আইসিসি মেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ লিগ ২ এ দাপুটে ইনিংস খেলেন তিনি। ঘরের মাঠে দলের শেষ ৩ ম্যাচে আসিফ তুলে নেন ২ ফিফটি। পরে খেলেন ৪২ বলে ১০১* রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৪ বাউন্ডারি ও ১১ ওভার বাউন্ডারি।