আয়ারল্যান্ডের লড়াকু সংগ্রহ, ব্যাটিংয়ে নেমেই শান্তর গোল্ডেন ডাক

আজ মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তোলেছে আয়ারল্যান্ড। মাঝারি রান হলেও মিরপুরে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে অ্যান্ড্রু বালবার্নির দল। এদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। শূন্য রানে ফিরেছেন শান্ত। এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৭ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শরীফুল ইসলাম আর খালেদ আহমেদকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ব্রেক থ্রু দেন শরীফুল। তার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মারে কামিন্স (৫)। ১১ রানে ভাঙে আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি।

১০ম ওভারে শিকার ধরেন এবাদত। তার বলে স্লিপে দুইবারের চেষ্টায় জেমস ম্যাককলামের (১৫) ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৭ রানে নেই ২ উইকেট। পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নির বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন নাচক হলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। আল্ট্রাএজে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেনি। পরে ১৬ রানে আইরিশ অধিনায়ককে এলবিডাব্লিউ করেন তাইজুল।

মধ্যাহ্ণ বিরতির পর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে তিন অংক স্পর্শ করে আইরিশদের স্কোর। ৮০ বলে অভিষেক ফিফটি তুলে নেন হ্যারি টেক্টর। চতুর্থ উইকেটে কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে তার ৭২ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। ৫০ রান করে ফিরেন টেক্টর। এরপর হঠাৎ ধস নামে আইরিশ ব্যাটিং লাইনআপে। পিটার মুরকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকার ধরেন তাইজুল। মিড অফে সহজ ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল।

ফিরতি ওভারে এসে ক্যাম্ফারকে (৩৪) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই অভিজ্ঞ স্পিনার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ক্যাম্ফার। চা বিরতির আগে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। ৭ম উইকেটে ৩৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ম্যাকব্রেইন আর লরকান টাকার। ১৯ রান করা ম্যাকব্রেইনকে মুমিনুলের তালুবন্দি করে এই জুটি ভাঙেন এবাদত।

ইনিংসের ৬৬তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব। প্রথম ওভারই দেন মেডেন। ৩৭ রান করা লরকান টাকারকে লিটন দাস স্টাম্পড করে দিলে তাইজুলের ঝুলিতে ওঠে চতুর্থ উইকেট। মার্ক অ্যাডায়ারকে (৩২) এলবিডাব্লিউ করে তিনি ক্যারিয়ারে ১১তম বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেন।

৭৮তম ওভারে গ্রাহাম হিউমকে (২) মেহেদি মিরাজ বোল্ড করে দিলে ২১৪ রানে অল-আউট হয় আয়ারল্যান্ড। ২৮ ওভারে ১০ মেডেনসহ ৫৮ রানে পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। ২টি করে নেন এবাদত এবং মিরাজ। শরীফুল নিয়েছেন ১টি।