ঈদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেন বর্ষা। স্বামী ঈদে ঘুরতে নিয়ে না যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি সীমান্তবর্তী শিবনগর গ্রামের মোস্তফা কামালের স্ত্রী সাথী ইসলাম বর্ষা (২৫)। নিহতের স্বামী পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
জানা গেছে, ঈদে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বামীর কাছে বায়না ধরে বর্ষা। পরে স্বামী ঘুরতে না নিয়ে গেলে অভিমান করে বুধবার রাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় সাথী। পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী মোস্তফা জানান, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকে বর্ষার সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন আমি সৌদি প্রবাসী ছিলাম। বর্ষা ছিল নারায়ণগঞ্জের হিন্দু পরিবারের বাসিন্দা। এক পর্যায়ে বর্ষা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরে আমাকে বিয়ে করার শর্তে সৌদি আরব পাড়ি জমান এবং সৌদি আরব যাওয়ার পর আমাদের সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে আমরা দেশে চলে আসি। এ সময় আর্থিক সঙ্কট দেখা দিলে, অটোরিকশা চালালো শুরু করি।
আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বামীর সঙ্গে অভিমান করেই সাথী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।