ঢাকার ধামরাইয়ে স্নোটেকস পোশাক কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে শিলা আক্তার বৃষ্টি (২১) নামে এক নারী শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার কারখানার সাততলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন শিলা। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় মুরাদ হোসেন (২২) ও মাহমুদুল হাসান ওরফে সজিব (২২) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই শিলার প্রেমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃত মুরাদ হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের ছেলে। তিনি কালামপুর মধ্যপাড়ার জসিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ঢুলিভিটায় চায়ের দোকান করতেন।
অপরদিকে সজিব বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কিসমত ঠাকুর মল্লিক গ্রামের আবু হানিফ হাওলাদারের ছেলে। তিনি ছোট চন্দ্রাইল বউবাজার এলাকায় ভাড়া থেকে স্নোটেক্স পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। শুক্রবার রাতে তাদের দুজনকে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশ। এর আগে তাদের নামে ধামরাই থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেন শিলার বাবা বাচ্চু শেখ।
এদিকে পুলিশ, নিহতের সহকর্মী ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, শিলা আক্তার প্রতিদিন স্নোটেক্স পোশাক কারখানায় যাতায়াতের সময় পরিচয় ঘটে চায়ের দোকানদার মুরাদ হোসেনের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অপরদিকে একই কারখানায় চাকরি করার সুবাদে সজিবের সঙ্গে পরিচয় হয় শিলার। তার সঙ্গেও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন শিলা। কিছুদিন পর শিলার দ্বৈত প্রেমের সম্পর্ক উভয় প্রেমিকই জেনে যান। পরে উভয় প্রেমিকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। একপর্যায়ে শিলা মুরাদকে পাত্তা দিতেন না। এতে শিলাকে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন ধরনের অপমান ও কটূক্তিমূলক কথাবার্তা বলতেন মুরাদ।
অপরদিকে সজিবও একইভাবে শিলাকে পাত্তা দিতেন না। ফলে কারখানায় তাদের মধ্যে একাধিকবার বাগবিতণ্ডা হয়েছে। ঘটনাটি কারখানায় বেশ আলোচিত বিষয় ছিল। এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, শিলার আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে দুই প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এতে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্নোটেকস পোশাক কারখানার এডি জয়দুল হোসাইন বলেন, শিলা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিলা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান।