মিরপুর টেস্টে জয়ের নায়ক মুশফিক

এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ফিফটিতে ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটার জানালেন ভিন্ন ঘরানার উইকেটে ভালো কিছু করার চ্যালেঞ্জ ছিল। সে চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই যে উতরে গেছেন তারা। সাধারণত মিরপুর মানেই ইতি স্পিন নির্ভর উইকেট। মন্থর উইকেটে কারিশমা দেখিয়ে সাফল্য পাওয়া যেত সহজে।

তবে সম্প্রতি এই মানসিকতা থেকে বের হয়েছে বাংলাদেশ। যথাসম্ভব স্পোর্টিং উইকেট বানানোতে ছিল মনযোগ। যার অন্যতম উদাহরণ আইরিশদের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট। নবাগত আইরিশরা মাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমেছিল। তাদের জন্য খানিক ঘাসে মোড়ানো উইকেটই বানানো হয়। যেখানে ব্যাটারদের জন্য সহায়তা ছিল, বোলারদের করতে হয়েছে লড়াই।

এমন কন্ডিশনে ম্যাচ জিতে পুরষ্কার বিতরণীতে মুশফিক বলেন, ‘পুরো টেস্টেই আমাদের চরিত্র তুলে ধরা জরুরী ছিল। এখানে বোলারদের জন্য কিছু ছিল না। তাদের সত্যি কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। যখন আপনি এমন কন্ডিশনে খেলবেন তখন শুরুটা ভালো হওয়া জরুরী। ইতিবাচক মানসিকতা প্রয়োজন।’

এদিকে আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে মুশফিকের ১২৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ পায় ২৬৯ রানের সংগ্রহ। ১৫৫ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে ৪ উইকেট হারায় আইরিশরা। সেখান থেকে লরকান টাকারের ১০৮ রানের সাথে হ্যারি টেক্টরের ৫৬ ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের ৭২ রানে তাদের স্কোরবোর্ডে ২৯২। বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য ১৩৮।

মুশফিকের অপরাজিত ৫১ রানের সাথে তামিমের ৩১ ও লিটনের ২৩। বাংলাদেশ পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়। নিজের ব্যাটিং নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘উপভোগ করেছি, কারণ দল জিতেছে যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বোলারদের কিছু ছিল না এই পিচে, তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররাও কৃতিত্বের দাবিদার। যেভাবে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছে তার জন্য।’

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তামিমের সাথে ইনিংস ওপেন করেন লিটন। ২০১৯ সালের পর যা প্রথম। দুজনে মিলে ৫ ওভারে ৩২ রান তুলে ফেলে। অদ্ভুতভাবে বোল্ড হওয়ার আগে লিটনের ব্যাটে ১৯ বলে ২৩। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তামিম-লিটনের এমন শুরু জরুরী ছিল বলছেন মুশফিক। তার ভাষায়, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম-লিটন ভালো ব্যাটিং করেছে। আয়ারল্যান্ড শুরুতে ২-৩ উইকেট তুলে নিলে আমাদের জন্য চাপ হত। লঙ্গার ভার্সনে আমরা ধারাবাহিক হতে চাই। এমন উইকেটে বোলাররা যেভাবে ২০ উইকেট তুলে নিয়েছে তা অবিশ্বাস্য।’