মুসলিম সেনাদের সঙ্গে ইফতারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম রোজা পালন করছেন। এ উপলক্ষে মুসলিম সেনাদের সঙ্গে ইফতারে যোগ দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার ইউক্রেনীয় মুসলিম সেনাদের সঙ্গে ইফতার ভাগ করে নেন তিনি। এই ছবি প্রকাশ করে জেলেনস্কি ‘সম্মানের নতুন ঐতিহ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর সিএনএন এর

এদিকে ক্রিমিয়ান তাতারদের একক সর্বোচ্চ নির্বাহী-প্রতিনিধি সংস্থা মেজলিসের নেতৃবৃন্দ এবং আলেমদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ইফতারে ভাষণ দিতে গিয়ে মুসলিমদের ধন্যবাদ জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি বলেন, রমজান মাস ইউক্রেনের সর্বত্র সম্মানিত ছিল। এমনকি যুদ্ধের পরিস্থিতিতেও।

গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকা এরই মধ্যে দখল করেছে রাশিয়া। এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে দেশটি। সেটি এখন মস্কোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলেনস্কি বারবার ক্রিমিয়াকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি ক্রিমিয়ায় মুসলমানদের প্রতি রাশিয়ার আচরণেরও সমালোচনা করেন।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন এবং ইউরোপের অন্যান্য জনগণকে দাস বানানোর রাশিয়ার প্রয়াস ক্রিমিয়ার দখল থেকে, ক্রিমিয়ান তাতার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং ক্রিমিয়ান মুসলমানদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন থেকে শুরু হয়েছিল। ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের জন্য এবং সারা বিশ্বের জন্য ক্রিমিয়ার মুক্তির কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে রাশিয়ার স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ‘রুশ স্বার্থ ও উদ্বেগকে বিবেচনায় নিয়েই যে কোনো ধরনের আলোচনা হওয়া উচিত।’

গতকাল শুক্রবার আঙ্কারায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে এক বৈঠকের পর এসব কথা বলেন ল্যাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা যেসব নীতিমালার ওপর প্রণীত হবে সেসব বিষয় নিয়েই এটি হওয়া উচিত।’ এ সময় এক পরাশক্তি শাসিত একক বিশ্বব্যবস্থার ধারণা রাশিয়া স্বীকার করে না বলেও যোগ করেন তিনি।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়া বলে আসছে, বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা। ইউক্রেন আক্রমণও এ লড়াইয়ের অংশ। গত বছর ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনার আয়োজন করেছিল তুরস্ক। আজকের বৈঠকেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদেশের মাঝে পুনরায় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী বসন্তে যুদ্ধের মাত্রা বাড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।