ঈদের ১০ দিন লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন নিষিদ্ধ

ঈদের ১০ দিন সদরঘাটে লঞ্চে মোটরসাইকেল ও মালামাল পরিবহন করা যাবে না বলে জানিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। লঞ্চে ও ফেরিতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যেন কোনোভাবেই আদায় না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। ঈদের সময় নৌপথে চলাচলে জরুরি প্রয়োজনে বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধে ও লঞ্চে বা ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই রোধ, যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া যেন কোনোভাবেই আদায় না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে।

সভায় জানানো হয়, ৩০ মার্চের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ এবং আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সবসময় সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

বৈঠকে অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, লঞ্চ ও ফেরির সব স্টাফকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান, লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম যাত্রীদের নাগালের মধ্যে রাখা, সব লঞ্চে প্রশস্ত সিঁড়ি এবং সিঁড়ির দুই পাশে মজবুত রেলিংয়ের ব্যবস্থা, সব ফেরি ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত টয়লেটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সভায় আরও জানানো হয়, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ঈদযাত্রার স্বার্থে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় আটটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে। ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিজিলেন্স টিম সংশ্লিষ্ট নৌ বন্দরে কাজ করবে।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান সভায় উপস্থিত ছিলেন।