ওরা কি চাচ্ছে, ওদিকে আমি যাবোও না: সাকিব-লিটনের এনওসি ইস্যু নিয়ে রাজ্জাক

সম্প্রতি সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসের ‘এনওসি ইস্যু’ সবচেয়ে আলোচিত ছিলো দেশের ক্রিকেটে। অবশেষে গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট দল ঘোষণার মধ্য দিয়ে জানা যায়, টেস্ট খেলতেই হচ্ছে সাকিব-লিটনকে। তবে এখনো রেশ কাটেনি আইপিএল নিয়ে বোর্ডের অনমনীয়তা নিয়ে। এবার নির্বাচক প্যানেলের আবদুর রাজ্জাক জানালেন, প্রথম সারির ক্রিকেটারদের ছাড়া টেস্ট খেলার পর্যায়ে এখনো পৌছায়নি বাংলাদেশ।

আজ ২ এপ্রিল মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির অনাত্তিপত্র ‘এনওসি’ নিয়ে কথা বলেন বিসিবি নির্বাচক কমিটির সদস্য আবদুর রাজ্জাক। সাবেক ক্রিকেটার রাজ্জাকের মতে, ড্রেসিংরুমে সাকিব-লিটনের উপস্থিতি দলের মোমেন্টামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় রাজ্জাক বলেন, ‘অবশ্যই তারা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সাকিবতো অধিনায়কই, লিটন এই মুহূর্তে আমাদের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। তারা দলে থাকলে স্বাভাবিকভাবে দলের পরিবেশ বদলে যায় স্বাভাবিকভাবে। বেটার হওয়ার কথা। তাই-ই হচ্ছে আসলে। আইপিএলের ইস্যুটা হচ্ছে প্রথমে বোর্ডে সিদ্ধান্ত, একই সময়ে খেলোয়াড়দেরও ব্যাপার আছে, ওরা কি চাচ্ছে? ওদিকে আমি যাবোও না। আমি যেটা বলবো ওরা থাকাতে দলের পরিবেশ খুবই ভালো। ‘

সেরা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করার পক্ষে নয় বলছেন রাজ্জাক। টেস্টের প্রথম সারির বড় দলগুলো বিভিন্ন সময় স্কোয়াড়ে বদল এনে থাকে। বাংলাদেশ এখনো সে পর্যায়ে যায়নি বলে মত নির্বাচক কমিটির এই সদস্যের। তিনি বলেন, ‘আমার দিক থেকে আমি চাই একদম সেরা দলটাই খেলুক। যেহেতু এটা টেস্ট ম্যাচ, আমার মনে হয় না কোনো দলের সাথেই টেস্ট ম্যাচে সুযোগ নেওয়া উচিত। টেস্ট ম্যাচ জিতে রাখাই ভালো। আরেক দিক থেকে যদি বলেন…ওরকম পরিস্থিতিতে আমরা এখনো যাইনি যে ৪-৫ জন ক্রিকেটার না থাকলেও সমস্যা হবে না। আমাদের ওই পর্যায়ে যেতে আরও সময় লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘এই মন্তব্যটা একেকজন একেক মন্তব্য দিবে। যার যেটা মনে হবে সে সেটাই দিবে। আমি সবার মন্তব্যকেই সম্মান করি। কারণ এটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিগত কথা বলা হয়েছে। আল্টিমেট সিদ্ধান্ত নিবে ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি সেটাকেই সাধুবাধ জানাই। যদি দিয়ে দিত তাতেও আমার সমস্যা ছিল না, যেহেতু দেয়নি তাতেও আমার সমস্যা নাই। বরং আমি খুশি। দিয়ে দিলেও আমি খুশি থাকতাম। কারণ আমি খেলোয়াড়দের বিপক্ষে না, আবার দলেরও বিপক্ষে না। এখন যেহেতু তারা আছে সেহেতু না থাকলে কি হত সে চিন্তাটা আর করতে চাই না। যখন থাকবে না তখন আমরা হয়তো চিন্তা করতে বাধ্য হব। যেটা নিয়ে আমি বাধ্য হচ্ছি না সেটা নিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানে নেই। যেটা আমি মনে করি।’

ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ একচেটিয়া জয় পেলেও টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ হেরে বসে বাংলাদেশ। টেস্টে মাঠে নামার আগে সতর্ক টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্ট। তার মতে, আয়ারল্যান্ড যা খেলছে তার চেয়ে ওরা ভালো দল। তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা কিন্তু প্রচু কাউন্টি ক্রিকেট খেলে। ওদের ওভাবে দেখার সুযোগ নাই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দেখে যদি মনে করা হয় ওরা ভালো দ না তাহলে ভুল হচ্ছে। যা খেলছে তার চেয়ে অনেক ভালো দল তারা। হয়তো এখানে এসে কোনো কারণে মানিয়ে নিতে পারেনি শুরুতে।’