ঢাবি ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, মা-ভাই গ্রেফতার

যশোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ফারহানা পারভীন উর্মিকে (২৯) তার স্বজনরা শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা প্রচার চালিয়ে দাফনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার জেলার কোতোয়ালি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার ময়নাতদন্ত করেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে উর্মির আপন ভাই ফয়েজ রাজ্জাক ফারদিন (২৩) ও মা আইরিন পারভীনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত উর্মি মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। অভিযুক্ত ফারদিন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের এলএলবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে যশোর শহরের বেজপাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখায় নিয়ে মরদেহ গোসলের সময় উর্মির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান চাচা রবিউল ইসলাম। তিনি বিষয়টি শালিখা থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, ফারহানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় মা ও ভাইয়ের সঙ্গে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ফারহানা পারভীন উর্মিকে তার ভাই ফারদিন শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

এরপর বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ফারদিন ও তার মা আইরিন পারভীন লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখায় নিয়ে যান। আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে সমাহিত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গোসল করানোর সময় উর্মির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান স্বজনরা।

এরপর চাচা রবিউল ইসলাম শালিখা থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তখন তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। উর্মির চাচা রবিউল ইসলামের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।