বাংলাদেশের আলু যাবে জাপানে

বাংলাদেশে উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের একটি কোম্পানি। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত ভ্যালেন্সিয়া জাতটি দেশে এসিআই কোম্পানি প্রচলন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জাপানের টোকিওতে ওয়েস্টইন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে জাপানি কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তা (SEIYA KADOU) সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। এ সময় এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বছরে এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সেজন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি, আলুকে আমরা অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করেছিলাম যাতে করে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রপ্তানিযোগ্য এসব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ।