ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির প্রার্থী হলেন তাসনিম জারা মেহেরপুর-১ আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মাসুদ অরুনকে ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন জামায়াতের দলীয় প্রার্থী তাজউদ্দিন খান বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকার কোথাও নেই শিল্পীরা মেহেরপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মাসুদ অরুণ ও আমজাদ হোসেন আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৭, আহত ৫৩০ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা চাঁদপুর-১ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন পিরোজপুরে মাসুদ সাঈদীর প্রতিশ্রুতি: “নির্বাচিত হলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করব” সাইবার জগতে হেল্প সেন্টার ঠাকুরগাঁওয়ের সৈকত সীতাকুণ্ডে বিএনপি মনোনয়ন বঞ্চিত আসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের সড়ক অবরোধ

জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৪:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

এবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ ইসলামের দুশমন আর জামায়াতে ইসলামী কওমি মাদ্রাসার দুশমন। তিনি দাবি করেন, যদি কখনও জামায়াত ক্ষমতায় আসে,তাহলে দেশে কওমি দেওবন্দী ধারা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ধারার মাদ্রাসাগুলোর অস্তিত্ব টিকবে না।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আল্লাহ তা না করুক, যদি এই ফেরাউনের জাত আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এ দেশের মাদরাসাগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমি কসম করে বলছি, তারা কওমি ও সুন্নিয়ত ধারার মাদরাসা মুছে ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী মুখে ইসলামের কথা বললেও বাস্তবে তারা ইসলামী শিক্ষার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এই দলের নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদরাসাকে নানা প্রকারভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। তারা ইসলামী রাজনীতির নামে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে।

জামায়াতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কওমি ঘেরা আলেম ওলামা বলছেন, জামায়াত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছে। তারা মওদুদীর ইসলাম বাদ দিয়ে সঠিক ইসলামে পথে আসলে সবাই তাদেরকে সর্মথন করবে।

হেফাজত আমিরের এ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে বরং মুক্তহস্তে সহায়তা দিয়েছেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির প্রার্থী হলেন তাসনিম জারা

জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী

আপডেট সময় ০৪:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

এবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ ইসলামের দুশমন আর জামায়াতে ইসলামী কওমি মাদ্রাসার দুশমন। তিনি দাবি করেন, যদি কখনও জামায়াত ক্ষমতায় আসে,তাহলে দেশে কওমি দেওবন্দী ধারা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ধারার মাদ্রাসাগুলোর অস্তিত্ব টিকবে না।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আল্লাহ তা না করুক, যদি এই ফেরাউনের জাত আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এ দেশের মাদরাসাগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমি কসম করে বলছি, তারা কওমি ও সুন্নিয়ত ধারার মাদরাসা মুছে ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী মুখে ইসলামের কথা বললেও বাস্তবে তারা ইসলামী শিক্ষার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এই দলের নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদরাসাকে নানা প্রকারভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। তারা ইসলামী রাজনীতির নামে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে।

জামায়াতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কওমি ঘেরা আলেম ওলামা বলছেন, জামায়াত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছে। তারা মওদুদীর ইসলাম বাদ দিয়ে সঠিক ইসলামে পথে আসলে সবাই তাদেরকে সর্মথন করবে।

হেফাজত আমিরের এ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে বরং মুক্তহস্তে সহায়তা দিয়েছেন।