ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে: জিল্লুর রহমান মিশরের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা সারজিস আলম  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় খুন হন ছাত্রদল নেতা সাম্য

কুষ্টিয়া-৪ আসনে রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তন না করলে বিএনপির ভরাডুবি হবে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০১:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৯৮ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তন করে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিককে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন না করলে বিএনপির ভরাডুবি হবে।

 

 

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় কুমারখালী হলবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কুমারখালী-খোকসা তৃণমূল বিএনপি।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ টুটুল। এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম টমে, চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী মোমেনুল হক পলাশ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সহ কয়েক শত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আলী নেওয়াজ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন খোকসা-কুমারখালী আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছর রুমী মাঠে ছিলেন না। মানুষের কাছে মেহেদী আহমেদ রুমী একজন গণবিচ্ছিন্ন নেতা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি হঠাৎ করেই উদয় হয়ে কোন ক্যারিশমায় মনোনয়ন নিয়ে এলেন আমাদের জানা নেই। অথচ বিগত ১৭ বছরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও মানুষের উপকার করেছেন।

 

তিনি আরও বলেন, ভোটের সমীকরণে কুমারখালী উপজেলায় প্রায় দুই লাখ ৯৮ হাজার ভোট। খোকসা উপজেলায় প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার ভোট। কুমারখালীতে দ্বিগুণের বেশি ভোট সত্ত্বেও কুমারখালীর জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি লক্ষ্য না রেখে প্রতিবারই খোকসা উপজেলা থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি হবে।

 

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম বলেন, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।

 

সংবাদ সম্মেলন শেষে কয়েকশ নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কুমারখালী হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, স্টেশন বাজার প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় সড়ক আটকে অবরোধ করে। এতে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ জনগণ।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

কুষ্টিয়া-৪ আসনে রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তন না করলে বিএনপির ভরাডুবি হবে

আপডেট সময় ০১:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মনোনয়ন পরিবর্তন করে নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিককে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন না করলে বিএনপির ভরাডুবি হবে।

 

 

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় কুমারখালী হলবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কুমারখালী-খোকসা তৃণমূল বিএনপি।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ টুটুল। এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম টমে, চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী মোমেনুল হক পলাশ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সহ কয়েক শত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আলী নেওয়াজ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন খোকসা-কুমারখালী আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীকে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছর রুমী মাঠে ছিলেন না। মানুষের কাছে মেহেদী আহমেদ রুমী একজন গণবিচ্ছিন্ন নেতা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি হঠাৎ করেই উদয় হয়ে কোন ক্যারিশমায় মনোনয়ন নিয়ে এলেন আমাদের জানা নেই। অথচ বিগত ১৭ বছরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও মানুষের উপকার করেছেন।

 

তিনি আরও বলেন, ভোটের সমীকরণে কুমারখালী উপজেলায় প্রায় দুই লাখ ৯৮ হাজার ভোট। খোকসা উপজেলায় প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার ভোট। কুমারখালীতে দ্বিগুণের বেশি ভোট সত্ত্বেও কুমারখালীর জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি লক্ষ্য না রেখে প্রতিবারই খোকসা উপজেলা থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি হবে।

 

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম বলেন, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।

 

সংবাদ সম্মেলন শেষে কয়েকশ নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কুমারখালী হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, স্টেশন বাজার প্রদক্ষিণ করে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোলচত্বর এলাকায় সড়ক আটকে অবরোধ করে। এতে সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ জনগণ।