ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আগামী ১৫ নভেম্বর বদলে যাচ্ছে পুলিশ ইউনিফর্ম! সরাসরি করাচি-চট্টগ্রাম শিপিং চালু করলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ বিএনপির সঙ্গে জোট নয়, একক নির্বাচনের চিন্তা এনসিপির ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মনোনয়ন না পেয়ে ধানক্ষেতে ‘রিভিউ’ দেখালেন বিএনপি নেতা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দেশের মানুষ রাখাল রাজা শহীদ জিয়ার দলকেই বিজয়ী করবে: শিমুল বিশ্বাস বিএনপিকে যারা দুর্বল ভাবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে: মির্জা আব্বাস বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত: রাজনাথ সিং ‘পির নয়, আওয়ামী এমপির ভোট নিয়ে পাস করতে চায় মনোনীত প্রার্থী হারুন’

খুলনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত, তবে বিএনপি পিছিয়ে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণের পর দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় হয়েছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলের পর এবারই প্রথম সম্ভাব্য সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গণসংযোগ, সভা, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রমে ব্যস্ত প্রার্থীরা।

 

খুলনায় নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা। কেন্দ্র থেকে ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পর থেকে দলটি সুসংগঠিতভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা প্রতিদিন নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, বাড়ি বাড়ি প্রচার, সভা ও পথসভা করছে।

 

 

পিছিয়ে নেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের প্রার্থীরাও পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

 

 

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতৃবৃন্দও প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই। যদিও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, খুলনায় এক ডজন নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেন্দ্র ও বিভিন্ন আসনে লবিং কার্যক্রমও চালাচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি নিশ্চিত করছে।

 

এদিকে, খুলনায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব বাধা ও হামলার পরও থেমে নেই। ৩ অক্টোবর জেলা কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম মধু ঘোষণা করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে এবং কোনো বাধা বা হামলার মুখে দমে যাওয়া হবে না।

 

অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি নির্বাচনী মাঠে এখনও সরব নয়। খুলনা-৫ আসনে সাবেক এমপি আলী আজগর লবীকে ছাড়া অন্য কোনো আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। দলের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর কারণে নির্বাচনী প্রচারণা সীমিত হচ্ছে এবং তারা মূলত দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নেই ব্যস্ত।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী ১৫ নভেম্বর বদলে যাচ্ছে পুলিশ ইউনিফর্ম!

খুলনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত, তবে বিএনপি পিছিয়ে

আপডেট সময় ১১:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণের পর দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় হয়েছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলের পর এবারই প্রথম সম্ভাব্য সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গণসংযোগ, সভা, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রমে ব্যস্ত প্রার্থীরা।

 

খুলনায় নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা। কেন্দ্র থেকে ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পর থেকে দলটি সুসংগঠিতভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা প্রতিদিন নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, বাড়ি বাড়ি প্রচার, সভা ও পথসভা করছে।

 

 

পিছিয়ে নেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের প্রার্থীরাও পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

 

 

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতৃবৃন্দও প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই। যদিও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, খুলনায় এক ডজন নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেন্দ্র ও বিভিন্ন আসনে লবিং কার্যক্রমও চালাচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি নিশ্চিত করছে।

 

এদিকে, খুলনায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব বাধা ও হামলার পরও থেমে নেই। ৩ অক্টোবর জেলা কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম মধু ঘোষণা করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে এবং কোনো বাধা বা হামলার মুখে দমে যাওয়া হবে না।

 

অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি নির্বাচনী মাঠে এখনও সরব নয়। খুলনা-৫ আসনে সাবেক এমপি আলী আজগর লবীকে ছাড়া অন্য কোনো আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। দলের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর কারণে নির্বাচনী প্রচারণা সীমিত হচ্ছে এবং তারা মূলত দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নেই ব্যস্ত।