রাজধানী ঢাকার অর্ধ সচিবালয় খ্যাত আগারগাঁও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ভাসমান খাবারের দোকান এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দৌরাত্বে। আগামীকাল বন্ধ হচ্ছে ভাইরাল কেকপট্টি থেকে শুরু করে সব রকমের ভাসমান দোকান। প্রশাসনের নির্দেশ না মানলে উচ্ছেদ করা হবে দখলদার সবাইকে।
রাজধানীর প্রশাসনিক ব্যস্ততম স্থান, যেখানে অবস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রধান দপ্তর থেকে শুরু করে সরকারি অফিস, পাসপোর্ট ভবন, আইসিটি টাওয়ার সহ গুরুত্বপূর্ন সব দাপ্তরিক কার্যালয়। তবে দাপ্তরিক ব্যস্ততম এই জায়গাটি এখন ফুটপাত দখল ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে। জুতা, পোশাক, কেক, খাবার, ইলেকট্রনিক পণ্য— সবই বিক্রি হচ্ছে রাস্তা আটকে বিশৃঙ্খল পরিস্থতিতে।
ফলে প্রতিনিয়ত জনদূর্ভোগে থাকা নাগরীক, স্থানীয় বাসিন্দা এবং নেটিজেনদের ক্ষোভ আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে একটি সতর্কতা মুলক অভিযানে নামে পুলিশ এবং সেনাদের একটি দল। ভাসমান প্রতিটি দোকান, দখলদার এবং ভাইরাল কেক বিক্রেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাবার, ব্যবহার্য পণ্য ও ইলেক্ট্রিকের দোকনগুলোতে দেয়া হয়েছে সতর্কতা মুলক বার্তা। সরাসারি উচ্ছেদ এর বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
অবশ্য আগারগাঁওয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অফিসগামী মানুষ, স্কুলের শিক্ষার্থী, নারী ও বৃদ্ধরা ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে বাধ্য হচ্ছেন মূল সড়কে নামতে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়েছে। একজন পথচারী বলেন, “আগারগাঁওয়ের ফুটপাত এখন বাজার, দোকানদার আর ক্রেতায় ভর্তি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে হকারদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করছে। উচ্ছেদ অভিযান চালালেও অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ফুটপাত পুনর্দখল হয়ে যায়। একজন হকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “চাঁদা না দিলে বসতে পারি না। আমাদেরও পরিবার আছে, তাই বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়।
আগারগাঁও ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “ফুটপাত দখল শুধু চলাচল নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। আগারগাঁও মেট্রো স্টেশন, আইসিটি টাওয়ার ও পাসপোর্ট অফিসের সামনে চলাচল করাই এখন দুর্ভোগ। দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।