ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০১:৪০:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তারা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কী পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তারা। একই সঙ্গে বিমানবন্দর কত দিন বন্ধ থাকবে সেই অনিশ্চয়তা রয়েছেন তারা।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি এই ঘটনায় দীর্ঘদিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে তবে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন। দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে পণ্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট রপ্তানি হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

 

 

 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’

 

মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’

 

সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে, এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কী পরিমাণ পণ্য ছিল।’

 

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

আপডেট সময় ০১:৪০:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তারা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কী পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তারা। একই সঙ্গে বিমানবন্দর কত দিন বন্ধ থাকবে সেই অনিশ্চয়তা রয়েছেন তারা।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি এই ঘটনায় দীর্ঘদিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে তবে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন। দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে পণ্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট রপ্তানি হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

 

 

 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’

 

মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’

 

সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে, এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কী পরিমাণ পণ্য ছিল।’

 

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’